টেন্ডার দুর্নীতির কাল্পনিক গল্প শুভেন্দুর, ”চোর চোর চোরটা…” কটাক্ষ কুণালের

নথি তুলে ধরে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন

ফের তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের নিশানায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের বিরুদ্ধে ১৫২ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ শানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান শুভেন্দু। এরপরই নথি তুলে ধরে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।

শুভেন্দুর দাবি, “১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আইপ্যাককে (I-PAC) ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের। ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।”

শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ”পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে টেন্ডার দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। দিল্লির একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করে ফেলেন তথ্যপ্রযুক্তি আধিকারিকরা। সমান্তরালভাবে সরকার চালাচ্ছে আইপ্যাক। আইপ্যাকের পছন্দের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়। ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়।”

এরপরই আসরে নেমে শুভেন্দুকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করে দেন কুণাল ঘোষ। নথি তুলে ধরে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, “একটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ভিত্তিহীন। চোরের মায়ের বড় গলা। একটা চিটিংবাজ, সারদা-নারদায় সিবিআই এফআইআর-এ নাম রয়েছে চোর-ঘুষখোরটার। বিজেপি ওকে চোর বলেছিল। এখন নিজেকে বাঁচাতে সেই বিজেপিতে গিয়ে অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কাউকে কোনও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়নি।”

রাজ্যপালকে শুভেন্দুর নালিশ নিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে তদন্ত করতে বলছে। আমরাও রাজ্যপালকে বলছি, কাঁথি পুরসভার একাউন্টে সারদার যে টাকা ঢুকেছিল সেটারও তদন্ত করা উচিত। সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে সিবিআই-ইডি শুভেন্দুকে গ্রেফতার করুক।”
ফের একবার “চোর চোর চোরটা শিশিরবাবুর ছেলেটা…” বলেও শুভেন্দুকে তোপ দাগেন কুণাল।

 

Previous articleনির্যাতিতা নাবালিকার পরিচয় ফাঁস! রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে শিশু কমিশনের
Next articleমণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে প্র.তিবাদ মিছিল তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের