Sunday, August 24, 2025

রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মা-বোনেদের জন্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে হাতে পান সাধারণ শ্রেণির মহিলারা। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এই প্রকল্প এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেকেই মনে করছেন এবার পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের বিরাট সাফল্যের পিছনে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পের একটি বড় প্রভাব রয়েছে। এমনকী, মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প অন্য রাজ্যগুলি নকল করছে।

আজ, শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনের আলোচনাতেও “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রসঙ্গে উঠে আসে। “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। স্বয়ং মা লক্ষ্মীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন ঘরে ঘরে, মন্তব্য হুমায়ুন কবীরের।

তবে এদিন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, মুসলিম মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। যদি তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সংখ্যালঘু হিসেবে তাঁদেরও সমপরিমাণ টাকা পাওয়া উচিত। এরপর হুমায়ুন কবীরকে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর বলেন, “উনি হয়ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছেন। তবে আমি বুঝিয়ে বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এমন করেই পরিকল্পনা করা যা শুধুমাত্র সাধারণ শ্রেণি ও তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য। কোনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও টাকার অঙ্ক একেবারেই ঠিক হয়নি। তা মুসলিম নারীদেরও বোঝাতে হবে।”

 

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version