গত ৩ মাস ধরে জাতি দাঙ্গার আগুন জ্বলছে মণিপুরে(Manipur)। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ ডবল ইঞ্জিনের সরকার। এমন অবস্থার মাঝেই শনিবার মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’(INDIA) জোটের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিকালে রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেই কপ্টারে করে সরাসরি অশান্ত চূরাচন্দ্রপুর যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে নির্যাতিতা-সহ কুকি সম্প্রদায়ের নেতা ও মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা। চূরাচন্দ্রপুরে (Churachandpur) ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করে বিরোধী নেতারা দুর্গতদের আশ্বস্ত করেন দ্রুত পরিস্থিতির বদল ঘটবে।

শনিবার চূরাচন্দ্রপুরে ত্রাণ শিবির পরিদর্শনের পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhary) কেন্দ্র ও মণিপুর সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে জানান, “তাঁদের (দুর্গতদের) মুখ থেকেই স্পষ্ট যে, তাঁরা কতটা আতঙ্কিত রয়েছেন। তাঁরা কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না। তাঁরা জানেন যে, সরকার কোনও সাহায্য করবে না।” অবিলম্বে অশান্তির শেষ হওয়া জরুরি বলেও দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে ইন্ডিয়া জোটের তরফে দুর্গতদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা। এর পাশাপাশি ত্রাণ শিবির পরিদর্শনের পর কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব(Sushmita Dev)। তিনি বলেন, “এখানে এসে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে দুঃখের বিষয় যে, ভারত সরকারের এখানে প্রতিনিধি পাঠানো উচিত ছিল, কিন্তু বিরোধী দলগুলি প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।” কুকি সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাঁদের সমস্যা-অভিযোগের কথা শোনেন বিরোধী জোটের প্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, মণিপুর পরিদর্শনে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈ, তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, ডিএমকে-র কানিমোঝি, আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা, জেডি(ইউ) প্রধান রাজীব রঞ্জন (লালন) সিং-সহ ১৬ টি রাজনৈতিক দলের ২১ জন প্রতিনিধি। শনিবারের পাশাপাশি রবিবারও এই রাজ্যের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
