দিঘার ঢেউসাগরে ঝাউবন ধ্বং.স করে বে.আইনি নির্মাণ! তদন্ত কমিটি গঠন গ্রিন ট্রাইবুনালের

রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিনই সেখানে ভিড় জমান হাজারো পর্যটক। সেই দিঘাকে (Digha) ঘিরেই এবার বড়সড় অভিযোগ জমা পড়ল জাতীয় পরিবেশ আদালতে (National Green Tribunal)। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত (Subhas Dutta)। তাঁর দাবি, দেশের সমুদ্র উপকূল আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিঘার সমুদ্র উপকূলে ঢেউসাগরে ঝাউবন ধ্বংস করে শয়ে শয়ে হোটেল গড়ে উঠছে। এদিন সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এবার পদক্ষেপ বড় পদক্ষেপ জাতীয় পরিবেশ আদালতের। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারক বি অমিত স্থলেকার ও বিচারক ডক্টর অরুণ কুমার ভার্মার ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।

বিচারকদের পাশাপাশি ওই কমিটিতে রয়েছেন, রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গবেষক ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাস্টেনেবল কোস্টাল ম্যানেজমেন্ট চেন্নাইয়ের বিশেষজ্ঞ, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির বিশেষজ্ঞ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকও। এদিন আদালতের সাফ নির্দেশ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ঝাউবন ধ্বংসের বিষয়ে এবং বেআইনি নির্মাণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কমিটিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের অভিযোগ, সমুদ্র উপকূলের আইন না মেনে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় ঝাউবন ধ্বংস করে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বেআইনি নির্মাণ। তাঁর অভিযোগের সপক্ষে একাধিক স্যাটেলাইট ইমেজ ও বহু ছবি জাতীয় পরিবেশ আদালতে জমা দিয়েছেন তিনি।

বেআইনি নির্মাণ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর মনে করিয়ে পরিবেশবিদের আরও দাবি, দিঘায় যা হচ্ছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইতিমধ্যে জাতীয় পরিবেশ আদালতে পরিবেশবিদের আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে রাজ্যের উপকূল ম্যানেজমেন্ট ও মেদিনীপুরের জেলাশাসকের তরফে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে দিঘায় কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়নি। সবটাই আইন মেনে করা হয়েছে।

 

 

Previous articleবাংলার ‘ খেলা হবে’-তেই বাজিমাৎ ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’র!
Next articleমণিপুরে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন ‘ইন্ডিয়া’র, সবরকম সাহায্যের আশ্বাস