পুলিশের নির্দেশে ঘরবন্দি,না খেয়ে দিন কাটছে সচিন-সীমার পরিবারের!

গ্রেটার নয়ডার রবুপুরাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন তারা। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।

অদ্ভূত ফতোয়া, আর তার জেরে জেরবার তাদের প্রাত্যহিক জীবন।কারণ,  পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশ ঘর ছেড়ে বেরোনো যাবে না।ফলে সমস্যায় পড়েছেন সচিন-সীমার পরিবার।একদিকে বাড়ির বাইরে সব সময় সংবাদমাধ্যমের ভিড় লেগেই রয়েছে।যার জেরে  নিজেদের বাড়িও ছেড়েছেন সচিনরা। গ্রেটার নয়ডার রবুপুরাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন তারা। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।

পরিস্থিতি এমনই যে পুরো পরিবারই বুঝে উঠতে পারছেন না, এখন তাদের কী করা উচিৎ।সচিনের বাবা নেত্রপাল বলেছেন, “আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কিন্তু যে দিন থেকে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে ঘর ছেড়ে বেরনো যাবে না, সে দিন থেকেই গোটা পরিবার ঘরবন্দি হয়েই কাটাচ্ছি। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছি না। বাইরে না বেরোতে পারলে কাজ জোগাড় করতে পারছি না। পরিস্থিতি খুব খারাপ। ঘরে খাবারও নেই।”

নেত্রপাল আর্জি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে  ততই ভাল। দ্রুত কোনও সমাধান বার করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সচিনের বাবার বক্তব্য, এমনিতেই ঘরবন্দি। বাড়িতে যে টুকু খাবার ছিল, তা-ও শেষ। এ বার না খেয়ে মরতে হবে।”

আসলে সীমাকে নিয়ে তদন্তে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়েন্দারা। সীমা পাকিস্তানি নাগরিক কি না, তা প্রমাণ করতে তাঁর এবং সন্তানদের পাসপোর্ট, ভিসা, পাকিস্তানি পরিচয়পত্র-সহ প্রয়োজনীয় নথি পাকিস্তান দূতাবাসে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও গাজ়িয়াবাদে ফরেন্সিক ল্যাবে সীমার মোবাইল পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান দূতাবাস এবং গাজিয়াবাদের ফরেন্সিক ল্যাব থেকে সব রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।জানা গিয়েছে, যত দিন না রিপোর্ট আসছে, তত দিন তদন্ত চলবে। তার পর চার্জশিট তৈরি করা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সীমাকে ভারতে থাকার অনুমতি পাবেন, নাকি তাকে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

 

Previous articleম‍্যাচ হেরে ব‍্যাটিং বিভাগকে কাঠগড়ায় তুললেন হার্দিক
Next articleরবিবারের ‘মন কি বাত’- এ মণিপুর নিয়ে নীরব মোদি!