আরব সাগরের ভয়ং.কর সাপ দীঘার সমুদ্র সৈকতে, এক ছোবলে ছবি!

মানচিত্র দেখলে দুই বিপরীত সমুদ্রের অবস্থানের দূরত্ব পরিষ্কার বোঝা যায়। তাই বিশ্বাস করতে বিস্ময় জাগে যে সুদূর আরব সাগর (Arabian sea)থেকে ভয়ংকর হিংস্র ‘ইয়েলো বেলিড’ (Yellow Bellied Sea Snake) কী করে বাংলার সমুদ্র সৈকতে চলে আসতে পারে! কিন্তু ক্যামেরার লেন্স তো আর মিথ্যে কথা বলে না। লেজের দিকটা নৌকোর দাঁড়ের মতো, পেটের দিকটা একটু হলদেটে ধরণের। প্রায় আড়াই তিন ফুটের বিষাক্ত এই সরীসৃপের মুখের আদল অনেকটা হাসের মতো। ভয়ংকর এই বিষধরের এক ছোবলে ছবি হওয়াটা ১০০% নিশ্চিত। আর তিনি কিনা বালুকাবেলায় দীঘার (Digha) সৈকতে দিব্যি নড়েচড়ে বেড়াচ্ছেন। পর্যটকদের পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়।

বৈজ্ঞানিক নাম পেলামিস প্ল্যাটুরাস(Pelamis platurus)। চলতি কথায় একে বলা হয় ইয়েলো বেলিড সি স্নেক। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে এই সাপের ছোবলে অ্যান্টি স্নেক ভেনাম (AVS) কাজ করে না। সর্প বিশেষজ্ঞদের মতে এই সাপের কামড়ে প্রথমে কিডনি বিকল হবে, তারপর বন্ধ হবে হৃদপিণ্ড। সম্প্রতি বাঁকুড়ার একদল পর্যটক দীঘায় বেড়াতে গিয়ে মূর্তিমান বিভীষিকাকে লেন্সবন্দি করতে পেরেছেন। কালাচ, কেউটে, গোখরো , চন্দ্রবোড়া – বিষধর সাপ বলতে যে যে নাম সবার আগে মাথায় আসে ইয়েলো বেলিড সে সবের থেকে এক কাঠি উপরে। সর্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতে ২৪ রকমের সামুদ্রিক সাপ পাওয়া যায় যার মধ্যে এটি সবথেকে ভয়ংকর। আরব সাগরের এই বাসিন্দারা মাঝেমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে চলে আসে। আর এই সরীসৃপের দংশনে প্রাণ হারাতে হয় মৎস্যজীবীদের। তাই এবার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে, ঢেউয়ের অপরূপ সৌন্দর্যের সামনে সেলফি তোলার আগে একবার পায়ের দিকে তাকিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন। কে বলতে পারে হয়তো সি সাইডের (Sea Side) মহিমা উপভোগ করতে আপনার এক হাত দূরে তিনিও রয়েছেন!

আরও পড়ুন- মস্কোয় ড্রোন হাম.লার জের! ইউক্রেনকে ক.ড়া বার্তা রাশিয়ার

Previous articleমস্কোয় ড্রোন হাম.লার জের! ইউক্রেনকে ক.ড়া বার্তা রাশিয়ার
Next articleভারতীয় দলে ফিরলেন বুমরাহ, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি