রাজ্যের অনুমোদনহীন খারিজি মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও যাতে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পায় সেবিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেকারণেই বিধানসভায় তিনি হাই-পাওয়ার কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, “আমরা মাদ্রাসা দখল করব, এটা ভুল খবর বেরিয়েছে। মাদ্রাসাতে আমরা হস্তক্ষেপ করব না”।

এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘“৭০০ মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেব। এছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে যারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়ায়। এটা তাদের স্বাধীনতা। আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করব না। আমরা বলেছি একটি সার্ভে করা হবে। যারা আগ্রহী সেই মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি খাতায় রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দেওয়া হবেমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা যারা আছে, তারা কিন্তু কন্যাশ্রীর সুবিধা, সবুজ সাথীর সুবিধা, স্মার্ট ফোনে সুবিধা, এসব পায় না। এই মাদ্রাসাগুলি যদি নথিভুক্ত করে নামগুলি, আমরা সমীক্ষা করে দেখব। আমার তাদের যেটা করব, সেটা হচ্ছে, তাদের ছাত্রছাত্রীরা,অন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যে ক্যাটেগরিতে সরকার থেকে যা যা সুযোগ-সুবিধা পায়, যেটা যাতে তারা পেতে পারে, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমরা নিজের কিছু করব না এ ব্যাপারে। আমরা নিজের কিছু করব না এ ব্যাপারে, সমীক্ষা করার জন্য়। ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে, যারা আগ্রহী, যারা আবেদন করবে, তাদের। কমিটিতে ইমামরাও থাকবে। যদি তারা করতে চায়, এই সুবিধাগুলি ছাত্রছাত্রীদের দিতে পারি। আমরা চাই, সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা আরও এগিয়ে আসুক। মাথা তুলে দাঁড়াক।”
রাজ্যে এমন বহু মাদ্রাসা রয়েছে, যাদের সরকারি অনুমোদন নেই। বিধানসভায় মাদ্রাসার নাম নথিভুক্তকরণের বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এমন উদ্যোগ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এদিন মমতা বলেন, “মাদ্রাসা নাম নথিভুক্ত করাটা ঐচ্ছিক। কোনওরকম জোর করা হবে না।”

আরও পড়ুন- ৮৪৪টি পদে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ, জোর গবেষণায়: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর