Sunday, November 9, 2025

সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকলে অসুবিধা কোথায়? বিধানসভায় বিরোধীদের কড়া জবাব শিক্ষামত্রীর

Date:

আইআইএমের (IIM) মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্চ কমিটিতে (Search Committee) রাষ্ট্রপতির তিনজন প্রতিনিধি থাকে। তাতে দোষ না হলে রাজ্যের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) প্রতিনিধি থাকলে অসুবিধা কোথায়? বিধানসভায় রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ে সার্চ কমিটি গঠন সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের জন্য আনা সংশোধনী নিয়ে আলোচনার সময় এভাবেই বিরোধী বিধায়কদের বিঁধলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। পাশাপাশি এদিন শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, আগে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তন করুক কেন্দ্র। তারপর এই বিষয়ে রাজ্যকে জ্ঞান দিক। মুখ্যমন্ত্রীর মনোনিত প্রতিনিধিকে সার্চ কমিটিতে রাখা নিয়ে এবার বিরোধীদের প্রবল আপত্তির কড়া জবাব শিক্ষামন্ত্রীর।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থাৎ ইউজিসির (UGC) বিধি মেনেই এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে রাজ্যপাল মনোনিত প্রতিনিধি থাকছেন, ইউজিসির প্রতিনিধিও থাকবেন, তাহলে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকবেন বলে বিরোধীদের এত আপত্তি কেন? রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাখার বিষয়টিও ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর আরও অভিযোগ, আলিয়া সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাক্তন পুলিশকর্তা বা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়োগ করে রাজ্যপাল নিজেই ইউজিসির বিধিভঙ্গ করছেন। কারণ সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে উপাচার্য হিসাবে মনোনিত প্রার্থীর ১০ বছর অধ্যাপনা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এদিকে বিজেপি এই বিলের বিরোধীতা করে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায়। পরে ভোটাভুটি হলে ওই প্রস্তাব ১২০-৫১ ভোটে পরাজিত হয় ও বিল পাশ হয়ে যায়। কলকাতা সহ রাজ্যের ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ে সার্চ কমিটি গঠনে অর্ডিন্যান্স আগেই জারি হয়েছিল। এবার সেই অর্ডিন্যান্সকে আইনি স্বীকৃতি দিতে রাজ্য বিধানসভায় এই বিল আনা হয়েছিল।

বিধানসভায় পেশ হওয়া ‘পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ল সংশোধনী অর্ডিন্যান্স বিল ২০২৩’-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি এবার থেকে উপাচার্য পদে তিন থেকে পাঁচ জনের নাম সুপারিশ করতে পারবে। যাঁদের নাম সুপারিশ করা হবে তাদের অন্তত দশ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কারও দশ বছর কোনও প্রতিষ্ঠিত গবেষণা সংস্থা বা অ্যাকাডেমিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সংস্থায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে তা হলেও চলবে।তাঁর সঙ্গে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী, আচার্য, রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি ছাড়াও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। তবে এদের মধ্যে আচার্যর প্রতিনিধিই সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হবেন।

 

 

Related articles

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...

টাকা পেয়েও কাজে দেরি! ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রশাসন, রিপোর্ট চাইল নবান্ন

প্রথম দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও বহু উপভোক্তা এখনও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি।...

ঝুলনের চোখে বাংলার সেরা ক্রিকেটার রিচা, মহিলা ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ

বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ক্রিকেট তারকা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন...

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
Exit mobile version