“শকুনের রাজনীতি”, বেহালা দু.র্ঘটনা নিয়ে কুণালের নিশানায় শুভেন্দু, তুললেন চণ্ডীতলা প্রসঙ্গ

ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করায় তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করে নবান্ন। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফেও রিপোর্ট চাওয়া হয়।

শুক্রবার সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বেহালার (Behala) ডায়মন্ড হারবার রোড (Diamond Harbour Road)। এই ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করায় তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করে নবান্ন। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফেও রিপোর্ট চাওয়া হয়।

এবার শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজায় শাসক-বিরোধী যুযুধান দু’পক্ষ। এই দুর্ঘটনার জন্য তৃণমূলের সরকার এবং পুলিশের উপর সরাসরি দোষারোপ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা সবকিছুতে রাজনীতি টেনে আনা নিয়ে শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুভেন্দুর বেপরোয়া কনভয়ে যুবকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র।

দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং পুলিশকে নিশানা করে শুভেন্দুর অভিযোগ, “তৃণমূলের সরকার পুলিশ ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পুলিশ থাকে না। রাত আটটার পরও পুলিশের দেখা যায় না। পুলিশের কাজ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুঠ করা, আর রাস্তা থেকে টাকা তোলা। যার পরিণতিতে সাত বছরের ফুটফুটে বাচ্চার মৃত্যুর ঘটনা এজন্য দায়ী আইপিএস এবং ইন্সপেক্টররা।”

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কুণাল ঘোষ বলেন, “যে কোনও দুর্ঘটনা বা মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশেষত, এই শিশু মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। একেবারেই এটা হওয়া ঠিক হয়নি। গাড়ির চালকের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। এই ঘটনার জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের কঠোরতম শাস্তি হোক।ইতিমধ্যে ঘাতক লরির চালককে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তবে এই বিষয়ে শুভেন্দুর মুখে কোনও কথা মানায় না।”

গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাছে শুভেন্দুর বেপরোয়া কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল স্থানীয় যুবক শেখ ইসরাফিলের। অভিযোগ, গাড়িতে শুভেন্দু থাকলেও ধাক্কা মারার পর শুভেন্দুর কনভয় থামেওনি। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু বড় বড় কথা পরে বলবেন, আগে নিজে ক্ষমা চান। ওর দ্রুত গতির কনভয় চন্ডীপুরের এক যুবককে মেরে ফেলেছে। আজ পর্যন্ত সেই যুবকের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কিনা ঠিক নেই। আসানসোলে অল্প জায়গায় বহু মানুষ ডেকে এনে কম্বল দেওয়ার নামে মৃত্যু ঘটিয়েছিল। অথচ সেই শুভেন্দু শকুনের রাজনীতি করছে একটি দুর্ঘটনা নিয়ে।”

 

 

Previous articleসার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকলে অসুবিধা কোথায়? বিধানসভায় বিরোধীদের কড়া জবাব শিক্ষামত্রীর
Next articleফের রাজস্থানে গণধ*র্ষণ! নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহ*রণের ঘটনায় চা.ঞ্চল্য