বাংলাকে ভাতে মার.তে চাইছে কেন্দ্র, এবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঋণেও বাধা

রাজ্য নিজ উদ্যোগে অর্থের সংস্থান করলেও ছাড়পত্র দেওয়ার নামে মোদি সরকার গড়িমসি করছে। গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রোধেও কোনও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একুশের ভোটে হারার পর থেকে প্রতি হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, ন্যায্য পাওনা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করছে মোদি সরকার। কিন্তু সেটা করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না কেন্দ্র, এবার বাংলার অর্থনীতি পঙ্গু করে দিতে চক্রান্ত চলছে। আসলে ‘ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই’!

রাজ্য নিজ উদ্যোগে অর্থের সংস্থান করলেও ছাড়পত্র দেওয়ার নামে মোদি সরকার গড়িমসি করছে। গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রোধেও কোনও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেন্দ্রের উপর নির্ভর না করেই রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থের সংস্থান করতে উদ্যোগী হয়। সেই মতো বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের (এআইআইবি) অর্থসাহায্যে ১৪০৩ কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। মালদহ, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা-পদ্মার তীরবর্তী ৩২.২৮ কিলোমিটার অংশে ৪১টি এলাকায় কাজ হবে বলে ঠিক হয়।

তবে বিশ্বব্যাঙ্কের থেকে এই ঋণ পেতে কেন্দ্রের ছাড়পত্র আবশ্যিক। তাই ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে গত ১০মে কেন্দ্রকে চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০-২১ সাল থেকে এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থসাহায্যে ২৮০০ কোটি টাকা খরচে সেচ প্রকল্পের কাজ চলছে রাজ্যে। সেই কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে খোদ বিশ্বব্যাঙ্ক। তারপরও অবশ্য কেন্দ্রের তরফে কোনও হেলদোল নেই।

জানা গিয়েছে, সেচ সংক্রান্ত প্রকল্প হওয়ায় অর্থমন্ত্রক মুখ্যসচিবের ওই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে জলশক্তি মন্ত্রকে। সেখানেই বিষয়টি আটকে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে আমরা নিজেদের চেষ্টায় কিছু করতে চাইলেও রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্র আমাদের অনুমোদন দেয় না। ২০২৪ সালের আগে অনুমোদন দেবে বলেও মনে হয় না।”

 

 

 

 

 

Previous articleবিচ্ছেদের পরেও প্রথম বিয়ের দায় এড়াতে পারেন না স্বামী, রায় দুই হাই কোর্টের
Next articleনুসরতের উল্টো সুর সংস্থার ডিরেক্টরের, কোনও ঋণ দেওয়ার কথা অস্বীকার