বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। সাংবিধানিক কাজকর্মের পরিসীমা ছাড়িয়ে রাজ্য সরকারের কাজে অকারণে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল (Governor) বলে বারবারই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে। সিভি আনন্দ বোস যে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন সেটা তাঁর সাম্প্রতিক কিছু কর্মকান্ডে বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ফের চওড়া হল রাজ্য ও রাজ্যপাল (State Government v/s Governor) সংঘাত। রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বারবার রাজ্যে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি উপাচার্য নিয়োগ এবং বহিষ্কার করছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের সঙ্গেই আলাপ আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।শুক্রবার রাতে একটি টুইটও করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিনি নাম না করে রাজ্যপালকে ‘ভাজপাচার্য’ বলে কটাক্ষ করেন। রাজ্যপালের সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ নিয়ে সরকারের তরফে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলার রায় অনেকাংশেই রাজ্যপালের পক্ষে গিয়েছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেছিলেন। এর পরই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন গৃহীত হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত এই নিয়ে কী বলে এখন সেটাই দেখার।