মানছেন কেন্দ্রের ব*ঞ্চনা! তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে হাজির বিজেপি বিধায়ক, নৈতিক জয় মানছে শাসকদল

রবিবার, বেলা ১২টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায় বাতাসকুরি মোড়ে মঞ্চে তখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারে বিরুদ্ধে চোখা চোখা আক্রমণ শাণাচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক সত্যন।

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষ। সেই অভিযোগে রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ অবস্থান করছেন তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা। আর সেই মঞ্চেই আচমকা হাজির দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের BJP বিধায়ক সত্যেন রায় (Satyan Ray)। শুধু তাই নয়, বাংলার বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগও মেনে নিলেন বিজেপি বিধায়ক। শুনে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) মন্তব্য, দলের ভিতরে আলোচনা হবে।

রবিবার, বেলা ১২টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায় বাতাসকুরি মোড়ে মঞ্চে তখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারে বিরুদ্ধে চোখা চোখা আক্রমণ শাণাচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক সত্যন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দিচ্ছিলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। আচমকাই গাড়ি থেকে নেমে সোজা মঞ্চে উপস্থিত হন তিনি। সকলে হতচকিত। হাতে মাইক তুলে নেন তিনি। এরপরেই বলতে শুরু করেন, “১০০ দিনের বঞ্চনা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু কী কারণে এমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেটা দেখার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রের আলোচনায় বসা উচিত।” কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় যে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।

শাসকদলের মঞ্চে বিজেপি বিধায়কের উঠে পড়া নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জল্পনা তৈরি হয়। তৃমমূল এটাকে নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘এটা আমাদের নৈতিক জয়। বিধায়ক মঞ্চে উঠে এসে তাঁদের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা স্বীকার করেছেন উনি।’’ তবে, এই বিষয় নিয়ে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি।


 

 

 

 

Previous articleপরিস্থিতি স্পর্শকাতর হলেও সরানো হচ্ছে না চিতাদের! কুনো নিয়ে ‘গা জোয়ারি’ কেন্দ্রের
Next articleকোচের আসনে ফিরছেন জুয়ান, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে সর্তক বাগান কোচ