ডুরান্ড কাপে প্রথম ম‍্যাচেই ধাক্কা খেল লাল-হলুদ, এগিয়ে থেকেও ড্র করল বাংলাদেশের আর্মির বিরুদ্ধে

ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ। বাঁদিক থেকে উঠে আসেন নাওরেম মহেশ সিং

ডুরান্ড কাপে প্রথম ম‍্যাচেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এদিন ম‍্যাচে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। লাল-হলুদের হয়ে গোল দুটি করেন সোল ক্রেসপো এবং সিভেরিও। দুই বিদেশি গোল পেলেন প্রথমার্ধেই। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করল লাল-হলুদ।

ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ। বাঁদিক থেকে উঠে আসেন নাওরেম মহেশ সিং। তাঁর ক্রস সিভেরিও টোরো মিট করলেও হাতে লাগিয়ে বল জালে জড়ায়। হলুদ কার্ডও দেখতে হয় তাঁকে। সুযোগ এসে গিয়েছিল বাংলাদেশের দলের সামনেও। ৮ মিনিটে সেই সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। তবে ৩৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নিশু কুমারকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সোল ক্রেসপো। এরপর প্রথমার্ধে শেষ লগ্নে আবারও গোল পেয়ে যায় লাল-হলুদ। একেবারে শেষ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়ান সিভেরিও টোরো। দারুণ দক্ষতায় বল ধরে ক্রস করেন খাবরা। সেই ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিভেরিও টোরো। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় কুয়াদ্রাতের দল।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে নিশু কুমার লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতেই সমস্যা শুরু হয়। নিজের দোষেই লাল কার্ড দেখতে হয় নিশুকে। সিনিয়র দলের ফুটবলার হলেও অকারণে কনুই মারায় লাল কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। এরপরেই ভারসাম্য কিছুটা ভেঙে যায়। সবে কলকাতায় আসা জর্ডন এলসে বাজে জায়গায় হেড করেন। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পান বাংলাদেশের দলের ইমন। তাঁর ডান পায়ের শট গোলে ঢুকে যায়। এরপর শেষ মুহূর্তে গোল পায় বাংলাদেশের দল। এক্ষেত্রে খাবরা ভুল করে বসেন। তাঁর ক্লিয়ারেন্স ঠিক হয়নি। সেখান থেকেই একেবারে শেষ মিনিটে গোল খেয়ে যায় লাল-হলুদ। ২ গোলে এগিয়ে থেকেও ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদকে।

আরও পড়ুন:কোচের আসনে ফিরছেন জুয়ান, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে সর্তক বাগান কোচ