কাটোয়ার তাঁত শিল্পীর বোনা শাড়ির আঁচলে ‘মুখ্যমন্ত্রী’, পাড়ে ঘাসফুল

শাড়ির পাড়ে তৃণমূলের প্রতীক- ঘাসফুল। এই শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান জগবন্ধু

সাদা খোলের সরু পাড় শাড়িতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দেখতে অভ্যস্ত সবাই। রাইসিনা হিলস হোক বা রাষ্ট্রসঙ্ঘে মঞ্চ- তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই পোশাকেই দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর চিরাচরিত তাঁতের শাড়ির আঁচলে তাঁরই ছবি! ফুটিয়ে তুললেন কাটোয়ার ঘোড়ানাশের তাঁতশিল্পী জগবন্ধু দালাল (Jagabandhu Dalal)। আঁচলে মুখ্যমন্ত্রী ছবি। সঙ্গে ১১ টি প্রকল্পের নাম। আর শাড়ির পাড়ে তৃণমূলের প্রতীক- ঘাসফুল। এই শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান জগবন্ধু।

তাঁত শিল্পের জন্যই বিখ্যাত কাটোয়ার (Katwa) ঘোড়ানাশ গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা জগবন্ধু। বংশ পরম্পরায় তাঁরা তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁতের শাড়ি পরেন। বাংলার তাঁতিদের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি শাড়ির আঁচলে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁতি জগবন্ধু। ৩২ দিনের পরিশ্রমে বাংলার মেয়ের ছবি সবুজ তাঁতের শাড়িতে বুনেছেন তিনি। ১৫ হাত শাড়ির আঁচলে ৪২ ইঞ্চি লম্বা মুখ্যমন্ত্রীর হাতজোড় করা ছবি। সঙ্গে ১১ টি প্রকল্পের নাম। সঙ্গে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান। শাড়ির পাড়ে ঘাসফুল প্রতীক। ৮৪ কাউন্ট সুতোর বুননে এই শাড়িটি তৈরি করেছেন জগবন্ধু। তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা গণপতি, মা অণিমা ও স্ত্রী প্রতিমা দালাল।

এ শাড়ির দাম কত?
প্রশ্ন শুনে লজ্জা পেলেন তাঁত শিল্পী। তাঁর কথায়, উপহারের কখনও মূল্য হয় না। তাঁতের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাতে চান জগবন্ধু। সেই কারণেই এই উপহার তুলে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী নন। তবে, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জগবন্ধুর আর্জি এই শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

 

 

 

 

 

Previous articleবিধবাদেরও মন্দিরে ঢুকতে দিতে হবে,তামিলনাড়ুর মন্দির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ মাদ্রাজ হাই কোর্টের
Next articleভারতীয় টিমের কোচ অভিষেক! শুভেচ্ছা জানালেন সেহবাগ, যুবরাজরা