হাসতে মানা! যোগী রাজ্যের বিধানসভায় ‘একুশে আইন’

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার সতীশ মোহানা (Satish Mohona) সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ১৯৫৮ সাল থেকে যে নিয়মবিধি কার্যকর ছিল ২০২৩-এ তা পরিবর্তিত হবে।

আইনকে প্রতিনিয়ত বুলডোজ করা হচ্ছে যে রাজ্যে, সেই উত্তর প্রদেশ (Utter Pradesh) বিধানসভায় (State Assembly) চালু হচ্ছে ‘একুশে আইন’। জোরে হাসা যাবে না-যোগী রাজ্যের বিধানসভায় চালু হচ্ছে এই আজব নিয়ম।

একনজরে কী কী নিয়ম
• জোরে হাসা যাবে না
• ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন
• ছেঁড়া যাবে না কোনও কাগজপত্র
• যখন কেউ বক্তব্য রাখবেন বা কারও প্রশংসা করবেন তখন তাঁর দিকে আঙুল তোলা যাবে না স্পিকারের দিকে পিছন ফিরে বসা বা দাঁড়ানো যাবে না
• কোনও ধরনের অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যাবে না
• লবি চত্বরে দাঁড়িয়ে কথা বলা, জোরে হাসা ও ধূমপান করতে পারবেন না সদস্যরা
• স্পিকারের চেয়ারের দিকে মাথানত করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার সতীশ মোহানা (Satish Mohona) সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ১৯৫৮ সাল থেকে যে নিয়মবিধি কার্যকর ছিল ২০২৩-এ তা পরিবর্তিত হবে। সোমবার নতুন নিয়মবিধি পেশ করা হয়েছে। বুধবার, এই নিয়ম পাশ হয়। তবে, শুধু এখানেই শেষ নয়, নতুন নিয়মে বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যকে স্পিকারের চেয়ারের দিকে মাথানত করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। অধিবেশন কক্ষে ঢোকা ও বেরনোর সময় বা বসা ও ওঠার সময়ও স্পিকারের দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ানো যাবে না। চোদ্দোদিন আগে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার নিয়ম ছিল, তা কমে সাতদিন করা হচ্ছে। সভাকক্ষ থেকে কোনওরকম বই, নথিপত্রও নেওয়া যাবে না।

বিরোধীদের কটাক্ষ একেবারে একুশে আইন চালু করেছে যোগী সরকার। সেখানে যেভাবে বিজেপি আমলে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত, সেই ধারাই আইনসভাতেও চালু করতে চাইছে তারা।


 

 

 

 

 

Previous articleএবার অন্তত সি*গারেট ছাড়ুন বুদ্ধ, আর্জি কুণালের
Next articleপাওয়ারকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র, ‘হাত’কে তোপ মোদির