মণিপুর ইস্যুতে লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে জবাবি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “অধীরবাবুর কী হাল হয়েছে, ওঁর দল ওঁকেই বলতে দেয়নি! কংগ্রেসের জন্য যে সময় বরাদ্দ হয়েছিল, তার মধ্যে ওঁর ভাগ্যে কিছুই জোটেনি”। এর পর স্পিকার ওম বিড়লার দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি মহানুভব তাই কিছু অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করেছেন অধীরবাবুকে।” মোদির আরও সংযোজন, “আমার সবচেয়ে খারাপ লাগছে, অধীর চৌধুরীকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। কে জানে কলকাতা থেকে হয়তো ফোন এসেছিল! অধীরবাবুর প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা।”

মোদির এমন মন্তব্যের পরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মনে করছেন, এই বক্তব্য খুব তাৎপর্যপূর্ণ, ইঙ্গিতবাহী। তাঁর বক্তব্য, “অধীর চৌধুরীকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি যা বলছেন, তাতে অনেক ভিতরের কথা চলে আসছে। অধীর চৌধুরীকে নিয়ে এতো দরদ কীসের। তারমানে অধীর চৌধুরী নরেন্দ্র মোদির পাঞ্জাবির হাতের মধ্যে লুকিয়ে রাখা কোনও আস্তিনের তুরুপের তাস। যাকে বহরমপুরে জিততে সাহায্য করে বিজেপি!”
কুণাল আরও বলেন, “অধীর চৌধুরীকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে কাজে লাগে। যখন INDIA নামটা শুনলে মোদির মধ্যে প্যানিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে INDIA-এর স্থপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে বিরক্ত করার জন্য অধীর চৌধুরীকে নিয়ে মোদির ইঞ্জিতবাহী মন্তব্য।”
