‘আবার প্রলয়’ জুড়ে তৃণমূলের নেতা থেকে মন্ত্রী, কী বলছেন বিধায়ক-পরিচালক

বলতেই হয় 'আবার প্রলয়' ছবিতে বিনোদবিহারীকে ছাড়া অনিমেষের অভিযান পূর্ণতা পেত না। কিন্তু পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ছবি জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা মন্ত্রীদের দেখা পাওয়া বেশ অন্যরকম বটে।

সুন্দরবনের (Sundarban) পটভূমিতে স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার অনিমেষ দত্তের মারকাটারি মারপিট। রাতের গভীরে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল চিরে নৌকা আর লঞ্চের নিঃশব্দে এগিয়ে যাওয়া। কাকপক্ষীও টের পাচ্ছে না যে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাচার হয়ে যাচ্ছে মেয়ে থেকে মহিলা। সুন্দরবনের নারী পাচার চক্র (Women trafficking)আটকাতে স্থানীয় প্রশাসন নাজেহাল। অতএব এলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ অফিসার। ক্যাওড়া স্টাইলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)অনবদ্য। নজর কাড়লেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Banerjee)। বলতেই হয় ‘আবার প্রলয়’ ছবিতে বিনোদবিহারীকে ছাড়া অনিমেষের অভিযান পূর্ণতা পেত না। কিন্তু পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ছবি জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা মন্ত্রীদের দেখা পাওয়া বেশ অন্যরকম বটে।

টলিউডের অন্যতম দাপুটে পরিচালক- তৃণমূল বিধায়ক রাজ তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজে দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh), রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)দুজনকেই বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করিয়েছেন। ট্রেলারেই ‘মোহিনী মা’য়ের চরিত্রে শোরগোল ফেলে দিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন। যদিও তিনি জিততে পারেননি। অনিমেষ দত্ত ওরফে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীয়ের চরিত্রে মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়াকে (June Maliya)দেখা গেছে। তবে দলের এত নেতানেত্রী, বিধায়ক, মন্ত্রী যে সিরিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তা কি দেখে উঠতে পারলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজের কথায়, “আলাদা করে ওনাকে কিছু বলার দরকার হয় না। উনি সব খবর রাখেন। সময়মতো ‘ আবার প্রলয়’ নিশ্চয়ই দেখে নেবেন।”

আজ OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ আবার প্রলয়’। এখনও পর্যন্ত রিভিউ রিপোর্ট বেশ সন্তোষজনক বলছেন সিনে বিশ্লেষকরা। যদিও দৈর্ঘ্য একটু কম হলে ভাল হত বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। সিরিজ়ের শেষে টুইস্টও রয়েছে। অমিত চট্টোপাধ্যায়ের আবহ সিরিজ়ের মেজাজ ধরে রেখেছে। মানস গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্যামেরা সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং জনজীবনকে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরেছে। শম্পা এবং কানুর চরিত্রে যথাক্রমে সায়নী ঘোষ এবং গৌরব চক্রবর্তীর অভিনয় সাবলীল। অনিমেষের পরিচিত কিছু সংলাপ শাশ্বতের মুখে যা শুনে দর্শক হাসি চেপে রাখতে পারবেন না। ঋত্বিক চক্রবর্তী যথাযথ। তবে সিক্যুয়েলের আশা নিয়েই যে গল্প শেষ হয়েও হল না, তা বলাইবাহুল্য।

 

 

 

 

Previous articleস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ রাজ্যপালের, প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুহৃতাও
Next article”হস্টেলে থাকলে পাঁচিলের উপর হাঁটতে হবে!” যাদবপুরকাণ্ডে ডিনের মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য