ফের প্রবল বৃষ্টি হিমাচলে, ফুঁসছে নদী, ধস নেমে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও

ফের প্রবল বৃষ্টির জেরে বানভাসি পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশে। বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি রাজ্যটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টির দাপট কমলেও অগস্টে আবার পুরনো চেহারায় ফিরেছে বর্ষা। গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচলের একাধিক এলাকায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বেশ কয়েকদিন আবহাওয়া একই থাকবে। চলবে ব্ষ্টিও। মৌসম ভবনের তরফে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে একাধিক শহরে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতাও। স্থানীয় প্রশাসন আগামী কয়েক দিন রাজ্যের বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে।


আরও পড়ুনঃ ফুঁসছে অলকানন্দা! বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই উওরাখণ্ড ও হিমাচলে

শনিবার হিমাচলে দিনভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে।ইতিমধ্যেই রাস্তাগুলিতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে হিমাচলের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজ্য জুড়ে অন্তত ৩০২টি রাস্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। ওই রাস্তায় মেরামতির কাজ চলছে। তবে বৃষ্টি না থামায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৭ অগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে হিমাচলে।

মান্ডি-কুলু জাতীয় সড়কে ধস নেমে কুলু-মানালি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তাগুলিতেও জল জমে যাতায়াতের অন্তরায় তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি নদীগুলির জল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কাও।

বৃষ্টিতে ধসের কারণে হিমাচল রোডওয়েস ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (এইচআরটিসি) একটি বাস শনিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মান্ডি-শিমলা মহাসড়কের উপর রাস্তার একটি অংশ আচমকা নীচের দিকে বসে যায়। বাসের ১২ জন যাত্রী এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে ঠিক সময়ে বাসটিকে থামাতে পেরেছিলেন চালক। তাই অনেক যাত্রীর প্রাণ বেঁচেছে। নিয়ন্ত্রণ হারালে খাদে গড়িয়ে পড়তে পারত বাসটি। সে ক্ষেত্রে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।