উপাচার্য বিল থেকে বন্দি মুক্তি- একের পর এক তিরে রাজ্যপালকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালার অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার সন্ধেয় এই অনুষ্ঠানে একের পর এক তিরে রাজ্যপাল তথা রাজভবনকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার্য বিল থেকে শুরু করে বন্দি মুক্তি- একের পর এক বিষয় নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা।

এদিন যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যথেচ্ছাচার করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া বিল আটকে রেখেছেন তিনি। একইসঙ্গে কেরালা থেকে আইএস অফিসারকে নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করছেন। যেখানে উপাচার্যের আসনে বসতে গেলে ন্যূনতম ১০ বছর অধ্যাপক থাকতে হয়। স্বাধীনতা দিবসে প্রতি বার বন্দি মুক্তি দেয় রাজ্য। সেই ফাইল নিয়েও টালবাহানা করেছেন রাজ্যপাল। এরপরেই তুমুল আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও বিল বা ফাইল রাজ্যপালের কাছে পাঠালে তিনি নয় মুখ্যসচিব, নয় স্বরাষ্ট্র সচিব, নয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠান। সকাল ছটা হোক বা রাত দশটা সঙ্গে সঙ্গে যেতে হবে! মমতার কথায় মনে হয় যেন আমরা সবাই রাজ্যপালের প্রজা। মমতার কথায়, আপনি রাজ্যপাল রাজার পার্ট করুন, প্রজার পার্ট করতে যাবেন না।

পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার বিলও আটকে। এতে বঞ্চনার শিকার হন বাংলার মানুষ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সবচেয়ে পরে আসে ওয়েস্ট বেঙ্গল। একই সঙ্গে জেসফ কোম্পানি বন্ধ নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, জমি দখল করে কারখানা বন্ধ করে রেখেছে রুইয়ারা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেরে উদ্যোগে শ্রমিকদের মাসে ১০হাজার টাকা করে দেন। এর পরেই তীব্র আক্রমণ করেন মমতা প্রশ্ন তোলেন, পবন রুইয়া কে হয় আপনাদের? কী মধু!

উপাচার্য বিল, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে নিয়ে রাজভবনে পিসরুম, বন্দিমুক্তির ফাইল আটকানো- একের পর এক বিষয় নিয়ে রাজ্য-রাজভবন দূরত্ব ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। আর এই সব বিষয় নিয়ে আনন্দ বসোর উপর মুখ্যমন্ত্রী যে বেজায় ক্ষুবেধ তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন- LAC-তে শান্তি ফেরাতে লাদাখের চুসুল সীমান্তে ১৯ তম বৈঠক সম্পন্ন ভারত ও চিন সেনার