Friday, November 7, 2025

যাদবপুর ত*দন্তে নয়া মোড়, পড়ুয়া মৃ*ত্যুর রাতেই হস্টেলে জেনারেল বডির বৈঠক!

Date:

যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক প্রাক্তনী সহ তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোরকদমে তদন্ত চলছে। আর এসবের মধ্যেই উঠে আসতে শুরু করেছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার রাতে ওই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টলে একাধিক জেনারল বডির বৈঠক হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই জেনারেল বডির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত সৌরভ ও বাকি দুই অভিযুক্তও উপস্থিত ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, হস্টেলের গেট বন্ধ রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল জেনারল বডির বৈঠকে। আর সেই কারণেই প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয়টি জানতে পারলেও পুলিশকর্মীরা হস্টেলে ঢুকতে পারেননি বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানায় আলাদা একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এদিকে বুধবারের ঘটনার পর জেনারেল বডির বৈঠক ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। গেট বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্তের কথা জানা যাচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল? নির্দিষ্টভাবে কে বা কারা হস্টেলের গেট বন্ধ করেছিল? জেনারেল বডির বৈঠকে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী অফিসারদের।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, অত রাতে কেন জেনারেল বডির মিটিং? কীসের এমন জরুরি দরকার? তদন্ত নেমে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যা সব তথ্য উঠে আসছে, তাতে আরও তাজ্জব তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৫ অগাস্টের ফুটবল ম্যাচ নিয়েই জিবি বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে বেশিরভাগ পড়ুয়া জানিয়েছে।

এর পাশাপাশি যাদবপুরের হস্টেলের গেট বন্ধ রাখার বিষয়টি হস্টেল সুপার জানতেন কি না, সেই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় পরতে পরতে নতুন রহস্যের মোড়। আর এই সবদিকগুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

এরই পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেলের সুপার মেন হস্টেলের উপরের তলায় উঠতে ভয় পান। উঠলে ছাত্ররা নাকি তাঁকে চোরের অপবাদ দেয়। আর এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নাকি তাঁকে বাঁচাতে আসে না।

হস্টেল সুপারের এই অবস্থা নিয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেছেন, ‘সুপার বলেছেন, তাঁকে হস্টেলে ঢুকতে পর্যন্ত দেয় না ছাত্ররা। একবার তিনি দুজন সহকর্মীকে নিয়ে ঢুকেছিলেন হস্টেলে। তাঁদের সারারাত একটি ঘরে বন্ধ করে রেখেছিলেন ছাত্ররা। তারপর তাঁদের দিয়ে একটি চিঠি লিখিয়ে নিয়েছিলেন ছাত্ররা যে তিনি আর কোনওদিন সেখানে আসবেন না। কারণ, তিনি নাকি সেখানে ফোন চুরি করতে এসেছিলেন।’

 

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...
Exit mobile version