১ঘণ্টা ৩৫মিনিট চলেছিল নি.র্মম শারীরিক ও মানসিক অ.ত্যাচার! যাদবপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত ৯ আগস্ট ঘটনার দিন রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে ঠিক কী ঘটেছিল? যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ৯ জনকে জেরা করে আরও বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সকলে স্তম্ভিত। প্রতিবাদে সরব শিক্ষা জগৎ থেকে সমস্ত শ্রেণির মানুষ। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে ইতিমধ্যে ৯ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে জেরা চলছে। আরও বেশ কয়েকজন নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ।

গত ৯ আগস্ট ঘটনার দিন রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে ঠিক কী ঘটেছিল? যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ৯ জনকে জেরা করে আরও বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ। যা শোনার পর আঁতকে উঠছে পুলিশও। সূত্রে খবর, ওই অভিশপ্ত রাতে ১০টা ৫ মিনিটে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফোন করেন জনৈক। তিনি জানান, পরিচয় পর্বের সময় একজন ছাত্র অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। এই খবর পেয়েই হস্টেল সুপারকে ফোন করেন ডিন অফ স্টুডেন্টস। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। কিন্তু এর মাঝেই বন্ধ ঘরের ভিতরে চলছিল অমানুষিক অত্যাচার। বর্বরোচিত র‍্যাগিংয়ের শিকার হয় প্রথম বর্ষ বাংলা বিভাগের ওই পড়ুয়া।

নির্যাতন শুরু হয় ৪ তলার একটি ঘরে। এরপর ৩ তলার একের পর এক ঘরে এনে ইন্ট্রো নেওয়া শুরু হয়। নগ্ন করে ‘ইন্ট্রো’ নেওয়া হয়। ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ধরে কার্যত গোটা হস্টেল জুড়ে চলেছিল চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরপর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হস্টেলের নিচে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে নগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। ধৃতদের মুখোমুখি জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।