যাদবপুর হতাশ করল শুভেন্দুকে, রাগে পুলিশকে বখাটের মতো কাঁচা গালা.গালি বিরোধী দলনেতার

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সভা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখে সোনালী গুহের ভাষা।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হঠাৎ মনে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই ঘোলাজলে মাছ ধরতে আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির শাখা সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভে তিনি হাজির। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের উলটো দিকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সমবেদনা বা প্রতিবাদ নয়, ছাত্রমৃত্যু নিয়ে রাজনীতির ফসল তোলার উদ্দেশ্যেই এদিন যাদবপুরে এসেছিলেন শুভেন্দু। তবে এদিনের সভায় বিজেপিপন্থী ছাত্রযুবদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বরং, বিজেপির কিছু ক্যাডার জমায়েত করেছিল। সেটাও সংখ্যায় খুবই কম। তার উপর ”চোর” স্লোগান, কালো পতাকা হজম করতে হয়েছে তাঁকে। স্বভাবতই সভা শেষে হতাশ শুভেন্দু। দলের প্রতি ক্ষোভ গিয়ে পড়ে কর্তব্যরত পুলিশের উপর। নিজেকে সামলাতে না পেরে এখানেও কাঁচা গালাগালি পুলিশকে। বিরোধী দলনেতার মুখের ভাষা শুনলে রাস্তার বখাটেরাও লজ্জা পাবে। ইতিমধ্যেই তাঁর গালাগালি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিন্দায় নেটিজেন থেকে সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সভা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখে সোনালী গুহের ভাষা। অনুষ্ঠান শেষে যাদবপুরের ৮বি’র দিকে এগোতে যান শুভেন্দু। ওই সময় সেই জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্ণা চলছিল। প্রচুর জমায়েত হয়েছিল। তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বিরোধী দলনেতাকে বাধা দেন। সেটাই হয়ে গেছে পুলিশের অন্যায়!

একদিকে নিজের সভায় লোক হয়নি, অন্যদিকে অশান্তি পাকাতে গেলে পুলিশের বাধা, সবমিলিয়ে চরম হতাশায় ছিলেন শুভেন্দু। তাই রাগে গজগজ করতে করতে এরপর বিরোধী দলনেতাকে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, “মমতা তোকে বেতন দেয়। তোর বাবাকে বেতন দেয়। শু.য়োরের বাচ্চা…!” শুভেন্দুর মুখে এমন ভাষা শুনে তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপির লোকজনও লজ্জা পেয়ে যান।

এদিকে শুভেন্দু মানেই অশান্তির আগুন। শুভেন্দু আর অশান্তি একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। এদিন মূল ইস্যুর ধারে কাছে না গিয়ে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উস্কানিমূলক ভাষণ দেন তিনি। আর শুভেন্দুর সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। শুভেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের লাথি, কিল, ঘুসি মারতে থাকেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

 

Previous articleমাঝআকাশে পাইলটের মৃ.ত্যু! বিমানের জরুরি অবতরণ
Next articleকুস্তি সংস্থার নির্বাচনে না থেকেও রয়েছেন ব্রিজভূষণ! অসন্তুষ্ট বজরং-রা