রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল। এই অভিযোগ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের আগে শিক্ষা দফতর বা শিক্ষমন্ত্রী কারোকেই তিনি কিছু জানাচ্ছেন না। যা সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।যদিও এর আগে এই একই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এবার শীর্ষ আদালতের কাছে বিচার চাইতে গেল রাজ্য সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। শনিবার রাতে গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন তিনি। এর আগে উত্তরবঙ্গ, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য প্রযুক্তি (ম্যাকাউট), কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, কাজী নজরুল, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের  বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্য সিভি আনন্দ বোস।

ওই অস্থায়ী উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে দেয় রাজ্য।  রাজ্যের যুক্তি ছিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন মেনে এই নিয়োগ হয়নি। ওই নিয়োগের বাতিল চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন এক অধ্যাপক। আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে।

সেই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষামন্ত্রী কোন প্যানেল না পাঠিয়ে রাজ্যপালের কাছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭জনের নাম পাঠান। এর ফলে নাম আলোচনার কোনও অবকাশই ছিল না রাজ্যপালের কাছে। হাইকোর্ট রাজ্যকে অবিলম্বে উপাচার্যদের ভাতা চালু করতে নির্দেশ দেয়।  এবার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গেল রাজ্য।

 

Previous articleলক্ষ্য ২০২৪, ঢেলে সাজানো হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি
Next articleযাদবপুরকাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তকারীদের হাতে একাধিক চাঞ্চ.ল্যকর তথ্য