রাজ্যে বিজেপির(BJP) সংগঠনের বেহাল দশা, তার উপরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব(Inner Clash)। সেই ছবি এবার দেখা গেল নদিয়া জেলার রাণাঘাটে(Ranaghat)। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ৪ নেতাকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধোরের অভিযোগ উঠল জেলা সভাপতির(District President) লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি দলের অন্দরে সংঘাত যে চরম আকার নিয়েছে তা মেনে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধেবেলা রানাঘাট কলেজের পাশে বিবেকানন্দ মূর্তির সামনে থেকে বিজেপির বিক্ষুব্ধ জনা পঞ্চাশ নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে দল থেকে অপসারিত করতে হবে।’ অভিযোগ, মিছিলটি ওল্ড বহরমপুর রোড ধরে জেলা পার্টি অফিসের দিকে কিছুটা এগোতেই বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিছিলের উপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে বিজেপির অপর গোষ্ঠী। তুমুল সংঘর্ষে জখম হন বেশ কয়েকজন (BJP leaders fighting)। তাদের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওইদিন বিকেলে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিসে ৯টি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বৈঠক চলছিল। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে পার্টি অফিসে জমায়েত করতে চায়। মিছিলটি যাতে পার্টি অফিস পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে তাই রাস্তাতেই হামলা চালায় জেলা সভাপতি পার্থসারথির শিবিরের লোকজন।
নিজের দলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে আক্রান্ত রানাঘাট সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জেলার দক্ষিণে আমাদের ফল ভালো হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জেলা নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে বৈষম্য মূলক আচরণ করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করার কারণেই দলের ফল খারাপ হয়েছে। তাই আমরা রানাঘাটের (Ranaghat) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও দলের জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে এ দিন শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। বর্তমানে যারা বিজেপির পদে রয়েছেন, তাদের একটা অংশ আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।” অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতেই পারে। সেটা জেলা সভাপতি হিসেবে আমাকে জানানোর জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তাই বলে রাস্তায় নেমে মিছিল করতে হবে, প্রতিবাদ জানাতে হবে! বিষয়টিকে দল সমর্থন করে না।” তা বলে দলের নেতাকর্মীদের রাস্তার উপর ফেলে মারধোর করা হবে? এর কোনও জবাব নেই জেলা সভাপতির কাছে।
