বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ! আটক নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিক

মৃত বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। পাশাপাশি তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এত গুরুতর অভিযোগের পরও কেন ওই আধিকারিককে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের(Delhi Police) বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতি মালিওয়াল অভিযোগ করেছেন, প্যানেল দিল্লি পুলিশকে নোটিশ জারি করেছে কেন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার(Arrest) করা হয়নি।

সূত্রের খবর, ২০২০ সালে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও দিল্লির আধিকারিক ছিলেন। এরপরই ওই মেয়েটিকে দেখাশোনা করবেন বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ডেপুটি ডিরেক্টর। তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরে কর্মরত ছিলেন। মেয়েটির মা দিল্লি সরকারের একজন আধিকারিক। একটি মন্দিরে মেয়েটিকে দেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। তারপরই তিনি মেয়েটিকে বাড়িতে আনতে চান।এরপর থেকে শুরু হয় যৌন অত্যাচার। ২০২০- ২০২১ সালের মধ্য়ে ওই ব্যক্তি একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। তার গর্ভপাতও করানো হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রীও বিষয়টি জানতেন। এমনকী তিনি বাধা দেওয়া তো দূরের কথা তিনি রীতিমতো সহায়তা করতেন। এরপরই ওই ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Arvind Kejriwal) ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেন। মুখ্যসচিব নরেশ কুমারের কাছে সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে এই মামলার রিপোর্টও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত আধিকারিক প্রেমোদয় খাখা ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে। অন্যদিকে, দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন, স্বাতি মালিওয়াল- অভিযোগ করেছেন যে তাকে হাসপাতালে নাবালিকা নির্যাতিতার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেছেন “আধ ঘন্টা ধরে হাসপাতাল প্রশাসন আমাকে নির্যাতিতা নাবালিকার সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিচ্ছে। আমাকে পুলিশ নিষেধ করেছে।” স্বাতীর অভিযোগ, “দিল্লি পুলিশ কী লুকাতে চায়?”

Previous articleভোটের প্রচারে বিজেপি নেতার মুখে কালি! যোগীরাজ্যে উ.ত্তেজনা
Next articleহুগলির হরিপালে সবুজ কালীর পুজো