এবার যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর আঁচ এসে পৌঁছল রাজ্য বিধানসভাতেও। আজ, মঙ্গলবার এই ইস্যুতে প্রথমে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাবের উপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৫ মিনিট বলার সুযোগ দেন। এরপর ৫ মিনিট বরাদ্দ করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর জবাবি ভাষণের জন্য। জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামগ্রিক অচলাবস্থা তথা এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের উপর বর্তান। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “যাদবপুরের এই ঘটনার জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী রাজ্যপাল।”
এর আগেও যাদবপুর কাণ্ডে রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নিজের পদের অপব্যবহার করে একতরফাভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছেন বলে আগেই অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার।
এমন পরিস্থিতি তৈরির জন্য রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গতকাল, বিধানসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু বলেন, “স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাধীনভাবে চলা উচিত। সেখানে রাজ্যপালের এই ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক গোঁয়ার্তুমি বন্ধ হলে ভাল হয়। আমি বরাবরই চেয়েছি আচার্যর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে। ইউজিসির গাইড লাইন মেনে সবটা করতে। কিন্তু উনি তাতে রাজি নন। এটা সুস্থ কাজের পরিবেশ নয়।”
শিক্ষামন্ত্রীর আরও সংযোজন, “মহামান্য আদালত শুনছেন গোটা বিষয়টি৷ আমাদেরও প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে৷ আমরা সার্চ কমিটি গড়েছি। ফাইল পাঠিয়েছি৷ আচার্য নিয়োগের বিল ফেলে রাখা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যত নেই৷ একটা বল লোফালুফির খেলা চলছে৷ রাজভবনের মগের মুলুক গোছের কারবার৷ আপৎকালীন নয় আমরা পাকাপাকি চাইছি। আমরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট পাঠাচ্ছি৷”