Tuesday, November 11, 2025

তদন্তে মুখোমুখি হতে প্রস্তুত,যাদবপুরকাণ্ডের ১৩ দিন পর নীরবতা ভাঙলেন অরিত্র

Date:

তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যাদবপুর-কাণ্ডের ১৩ দিন পর নীরবতা ভেঙে জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে ‘আলু’। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অরিত্র মজুমদারের। মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন ১০ তারিখে কাশ্মীরে ছিল সে। মিডিয়া এবং বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন তার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। যে কোনও রকম তদন্তের সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। সে কলকাতায় ফিরছে বলে জানিয়েছে।

অরিত্র জানিয়েছেন, তিনি কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন।  প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতার দাবি, চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁর। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করেছেন। তাঁর আরও দাবি,  ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনও ভাবে যুক্ত নন।  ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছেন। তদন্তে প্রামণ হবে যে সেই রাতে হস্টেলে তিনি যাননি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ওই পোস্টে অরিত্র জানিয়েছেন, ১০ অগাস্ট কলকাতা থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হন। সেদিন সকালে শেষ বারের মতো কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। কাশ্মীরের গ্রেট লেকস ট্রেকিংয়ের উদ্দেশেই কাশ্মীর গিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ছিল।

গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ১০ তারিখ বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হস্টেলের প্রাক্তনী এবং বর্তমান আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অরিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক। ঘটনার ১৩ দিন পর নিজেই মুখ খুললেন।

সূত্রের খবর, অরিত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়ালি কোনও ছুটি নেননি। এমনকি তার যে পিএইচডি গাইড রয়েছে তাকেও কিছু জানায়নি বলে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছে। তবে কি এটা হস্টেলে ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর অরিত্রর সাজানো পরিকল্পনা? সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এসএফআই ছাত্রনেতা জানিয়েছেন যে,  এই মুহূর্তে পুলিশের হাতে যারা গ্রেফতার হয়ে আছে তার প্রত্যেকেই প্রথমে বলেছিল যে তারা ঘটনার সময় ছিল না । এমনকি গ্রেফতার হওয়ার পরেও তারা একই কথা বলে যাচ্ছে।

পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বারবার বয়ান বদল করছে।সঙ্গত কারণেই অরিত্রের দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।প্রশ্ন উঠেছে, গবেষক হয়েও দীর্ঘদিন কি করে এটি ছাত্র সংসদের মাথা হয়ে কাজ করত অরিত্র? খোদ এসএফআই এই প্রশ্ন তুলেছে।

 

 

 

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...
Exit mobile version