উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বহাল থাকছে ৩৭১ , জানিয়ে দিল কেন্দ্র

আজ থেকে বছর চারেক আগে ৫ আগস্ট ২০১৯ সালে, ভারত সরকার সংবিধানের সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu & Kashmir) ‘বিশেষ অধিকার’ দেওয়া ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে। কিন্তু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি (North East States)থেকে ৩৭১ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করা হবে কি? এই প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, বিরোধীরা কেবল কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদই জানাননি, পরে ৩৭১ অনুচ্ছেদও লোপ পাবে বলে প্রচারও চালিয়েছেন। উত্তর-পূর্বকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। সরকারের অবস্থান ব্যাখা করতে গিয়ে শাহ জানিয়েছিলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ছিল অস্থায়ী অনুচ্ছেদ। কিন্তু ৩৭১ স্থায়ী অনুচ্ছেদ। তাই ৩৭১ (এ) থেকে ৩৭১(জে) পর্যন্ত সবকটি ধারা বজায় থাকবে। এবার সুপ্রিম কোর্টে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫(এ) ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে উত্তর পূর্বের রাজ্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র (Government of India)।

সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে যে ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ অনুচ্ছেদে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, সেটা আসলে ছিল টেম্পোরারি প্রভিশন। ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছিল যে যদি রাষ্ট্রপতি মনে করেন ওই বিশেষ মর্যাদা তুলে নিতে হবে তাহলে তিনি সেটা করতে পারেন। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়। কিন্তু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বহাল থাকছে ৩৭১ ধারা। মোদি সরকারের আমলে ৩৭০ বাতিলের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই রাষ্ট্রপতি শাসনে রাজ্যপালকে কোনও অবস্থাতেই স্থানীয় সরকার হিসেবে ধরা যায় না। এই মামলায় আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল এটাই। যেহেতু রাজ্যপাল জনপ্রতিনিধিত্বের প্রতীক নন, এ ক্ষেত্রে ৩৭০ এবং ৩৫(এ) ধারা বাতিলের ঘটনা সাংবিধানিক ভাবে বেআইনি। পাশাপাশি ১৯৫৭ সালের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা আর কার্যকর ছিল না বলে কেন্দ্র যে যুক্তি দিয়েছিল, তা কার্যত খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

 

Previous articleমিজোরামে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মালদহের ২৭ শ্রমিকের মৃ.ত্যু, বাড়তে পারে সংখ্যা
Next articleমহেশতলায় দর্জি হাব, এবার BGBS-এর মূল আকর্ষণ MSME: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী