বিবেক জাগাতে এটাই যথেষ্ট: টুইট যুদ্ধে শুভেন্দুর ঘুষের ছবিসহ তোপ অভিষেকের

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইডি প্রেস বিবৃতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhisekh Banerjee) নাম নিতেই তাঁকে কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। এবার পালটা তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নারদা কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর ঘুষ নেওয়ার দৃশ্যের ছবি টুইট করে তোপ দাগলেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, ”বিবেক জাগ্রত করতে এই ছবিই যথেষ্ট।”

গত সোমবার থেকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। বুধবার দুপুরে সেই তল্লাশি নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে ইডি। সেখানে ইডির তরফে এই ঘটনায় অভিষেকের যোগ রয়েছে বলে দাবি করে বিবৃতি দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অভিষেককে রীতিমতো আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেন তিনি। এর পাল্টা নারদা কাণ্ডে শুভেন্দুর ঘুষ খাওয়ার ছবি তুলে ধরে জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদায় খবরের কাগজে মুড়িয়ে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি তুলে ধরে অভিষেক লেখেন, “আশাকরি কারও বিবেক জাগ্রত করার জন্য এই ছবিটাই যথেষ্ট”। সেই সঙ্গে লিখেছেন, “আমি কি জানতে পারি যে কবে আপনি হেঁটে এজেন্সির দফতরে পৌঁছে যাবেন।”

 

উল্লেখ্য, তল্লাশির ঘটনায় ইডির তরফে প্রেস বিবৃতিতে অভিষেকের নাম নেওয়ার পর তাঁকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু লিখেছিলেন, “আমি কারও স্মৃতি একটু তাজা করে দিতে চাই। যিনি প্রায়ই বলেন, এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়বেন।” প্রসঙ্গত, বিজেপির এজেন্সি রাজনীতিতে ইডি ও সিবিআইয়ের তরফে রীতিমতো টার্গেট করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রায় বাধা সহ তার পরিবারকেও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে এজেন্সির বিরুদ্ধে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়েও অভিষেকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগেরও কোনও প্রমাণ পায়নি এজেন্সি। তবে রাজনৈতিক চাপে অভিষেকের ভাবমূর্তি নষ্টের সবরকম চেষ্টা চলছে। বুধবার ইডির তরফে সেই প্রচেষ্টা চালানো হতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন শুভেন্দু। তবে অভিষেকের পাল্টা জবাবে কার্যত মুখ লুকোলেন তিনি।

অন্যদিকে, ইডির প্রেস বিবৃতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করার ঘটনাকে পুরোপুরি এজেন্সির রাজনৈতিক প্রতিহংসা বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এটা বিজেপির তরফে দেউলিয়া ও প্রতিহিংসার রাজনীতির একটি অঙ্গ। প্রথম প্রশ্ন, শুভেন্দুকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গেলেও কেন সিবিআই তার বাড়ি যায় না? এমনকি সিবিআইয়ের এফআইআরে তাঁর নাম রয়েছে। এবং দ্বিতীয়ত, তল্লাশি চালিয়ে কী পাওয়া গেল সেটা মানুষের সামনে আনা হোক। অর্পিতার বাড়ি টাকা পাওয়া যেতে সঙ্গে সঙ্গে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। এখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। তাহলে অকারণে কারও নাম জড়িয়ে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা কেন? কিছু না পেয়ে কুৎসা করতে কারও নাম ভাসিয়ে দেওয়া কেন এজেন্সির? ওরা যদি নিরপেক্ষ হয় তবে শুভেন্দুর বাড়িতে তল্লাশি চালাক।”

Previous article“ক্লান্তি”, “বিশ্রাম”, “ছুটি” নেই তাঁর অভিধানে! বিদেশ থেকে ফিরেই ঠাসা কর্মসূচিতে অভিষেক
Next articleআইএসসি, সিবিএসই-তে নয়া নিয়ম, একাদশ-দ্বাদশে বছরে দু’বার পরীক্ষা