Saturday, August 23, 2025

রাতভর প্রশ্নোত্তর শেষে বুধেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অরিত্র, তদন্তের অগ্রগতিতে ডাক ক্যান্টিন কর্মীদের

Date:

‘‘আমি চাই দোষীরা চিহ্নিত হোক। এখন যেহেতু তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তাই এর বেশি আমি কিছু বলব না।’’ যাদবপুরে (Jadavpur University) পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক অরিত্র মজুমদার (Aritra Majumder) ওরফে আলু। যাদবপুরের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ‘আলু’-র কোনও হদিশ না মেলায় বাড়ছিল রহস্য। মঙ্গলবার নিজের অনুপস্থিতির সপক্ষে একাধিক সাফাই দিয়ে শহরের ফেরার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দাপুটে DSF নেতা। এরপর শহরে ফিরতেই মঙ্গলবার রাতে তাঁকে যাদবপুর থানায় (Jadavpur Police Station) তলব করা হয়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতে সওয়াল জবাব পর্ব শেষে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছন অরিত্র। আর এদিন ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন আলু। পাশাপাশি গত ১১ তারিখে রেজিস্টারে (Register) সই করা প্রসঙ্গে অরিত্র বলেন, একসঙ্গে তিন দিনের সই করতে গিয়ে ভুল করে ১১ তারিখের ঘরে সই করে ফেলেছিলেন। এমন ঘটনার পর থেকেই আলু বেপাত্তা ছিলেন।

এদিকে, যাদবপুরের ক্যান্টিনের রাঁধুনি ছাত্রদের উপর অত্যাচারের কথা স্বীকার করেছেন। সেকারণেই এবার ক্যান্টিনেরই আরও পাঁচ কর্মচারীকে থানায় ডেকে পাঠাল পুলিশ। বুধবারই তাঁদের যাদবপুর থানায় আসতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁদের বেশ কয়েক জন থানায় এসে পৌঁছেছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল যাদবপুরের মেন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গত ৯ অগাস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। তাতে র্যাাগিংয়ের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ক্যান্টিনের কর্মচারীদের ডেকে পাঠানো হল থানায়।

বুধবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরিত্র বলেন, একটাই কথা বলতে চাই, অবিলম্বে দোষীরা চিহ্নিত হোক ও শাস্তি পাক। যেহেতু একটা তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, তাই বাইরে আমার কিছু বলার নেই। তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যেখানে যে যা কিছু জানতে চাইবে সব বলব। যা তথ্য চাইবে আমি সব দেব। তবে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে যেতেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে যান অরিত্র। এরপরই বাইকে চেপে তিনি ঘটনাস্থল ছাড়েন। সূত্রের খবর, একটি মোবাইলের কল হিস্ট্রি দেখে প্রথম সামনে আসে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুর নাম। ঘটনার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই ছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের অনেকের সঙ্গেই অরিত্রর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি অনেকের। কিন্তু আচমকাই তাঁর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাড়ছিল রহস্য।

 

 

 

 

Related articles

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...

হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পেল স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওডিএফ প্লাস’ সার্টিফিকেট 

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক দুই শহর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওপেন ডিফেকেশন ফ্রি প্লাস’ (ওডিএফ প্লাস)...
Exit mobile version