চন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশ! চাঁদের মাটিতে বীর বিক্রম যাদবপুরের প্রাক্তনী কৃশানুর

বুধবার ইসরোর এতবড় একটা মিশনের সাফল্যের অংশীদার গ্রামের ছেলের কৃশানু। তাই কৃশানুর এতবড় সাফল্যে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা ভীষণ আনন্দিত।

কৃষক পরিবারের ছেলে। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র। পাত্রসায়ের বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক এবং কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। এরপরে কলকাতার আরসিসি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে বিটেক। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) থেকে এমটেক পাশ। এমটেক শেষ করার আগেই ইসরো থেকে ডাক পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই আর ফিরে থাকাতে হয়নি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ডান্না গ্রামের বাসিন্দা কৃশানু নন্দীকে। আর চাঁদের মাটিতে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) অবতরণের পর এই বাঙালি তনয়কে ঘিরে উন্মাদনার অন্ত নেই।

চন্দ্রযানের সাফল্যের পিছনে যে সমস্ত বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষ অবদান রয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কৃশানু নন্দী। চাঁদের মাটিতে রোভার কোন দিকে যাবে অর্থাৎ রোভারের গতি নিয়ন্ত্রণ করছে যে টিম, তার অন্যতম সদস্য কৃশানু। রোভারের মুভমেন্টের দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে। শুধু তাই নয়, ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর তাকে চাঁদের বুকে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার যে গুরুদায়িত্ব ইসরোর অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কৃশানুও রয়েছেন। আর বুধবার ইসরোর এতবড় একটা মিশনের সাফল্যের অংশীদার গ্রামের ছেলের কৃশানু। তাই কৃশানুর এতবড় সাফল্যে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা ভীষণ আনন্দিত।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই  চাঁদের প্রতি আকর্ষণ ছিল কৃশানুর। পরবর্তীকালে তিনি মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে প্রথম থেকেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাঁর দিদি টিউশন পড়িয়ে ভাইয়ের পড়াশুনার খরচ জুগিয়েছেন। তাছাড়াও কৃশানু পড়াশুনায় খুব ভালো হওয়ার কারণে স্কলারশিপও পেয়েছেন। এমটেক পড়ার সময়েই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে তিনি পরীক্ষা দেন। তারপর ইসরোতে চাকরি। বর্তমানে তিনি বেঙ্গালুরুতে কর্মরত রয়েছেন। তবে ছেলের সাফল্যে গর্বিত হলেও এখনও পর্যন্ত কৃশানুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ঘরের ছেলে বর্তমানে চরম ব্যস্ততায়।

 

 

 

 

Previous articleহোম-স্টে-তে মানতেই হবে রাজ্য সরকারি গাইডলাইন, বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তরে জানালেন পর্যটন মন্ত্রী
Next articleচন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার