হোম-স্টে-তে মানতেই হবে রাজ্য সরকারি গাইডলাইন, বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তরে জানালেন পর্যটন মন্ত্রী

লক্ষ্য কর্মসংস্থান। পর্যটনের উন্নয়ন। হোম-স্টেগুলিকে উৎসাহ দিতে অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে। তবে, তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে। না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বিধানসভার পর্যটন দফতরের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজেপির শঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, হোম স্টের অর্থ সেখানকার মানুষের সংস্কৃতি সঙ্গে পরিচিত হওয়া। কিন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে বাইরে থেকে গিয়ে যেভাবে হোম স্টে (Home Stay) করা হচ্ছে তাতে তার সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে।

উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে ২৯৪৭টি হোম স্টে রয়েছে। সেখানে ১৭৯৭৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারি সহায়তা নিয়ে হোম স্টে করছে তাঁদের একটা নিয়ম মানতে হবে। হোম স্টের বাইরে যথাযথ বোর্ড লাগাতে হবে। হোম স্টের নামে কোনও অনৈতিক বা বেআইনি কাজ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রী বাবুল জানান, এবিষয়ে পর্যটন দফতরের ওয়েব সাইটে বিস্তারিত নীতি নির্দেশিকা দেওয়া আছে। হোম স্টে মালিকদের সেগুলি মেনে চলতে হবে।

বৃহস্পতিবার অধিবেশনে পর্যটন দফতরের প্রশ্ন ছিল। তা স্বত্বেও এদিন বেশ কিছুটা দেরি করে বিধানসভায় পৌঁছন পর্যটন মন্ত্রী। এনিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বিন্দ্যপাধ্যায়ের কাছে ধমক খান বাবুল সুপ্রিয়। পর্যটন নিয়ে প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন বিধায়ক কল্লোল খাঁ। তিনিও এদিন বিধানসভায় দেরি করে পৌঁছন। পরবর্তী সময় তাঁকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়ে তাঁকে ভবিষ্যতে দেরি করে না আসার বিষয়ে সতর্ক করেন অধ্যক্ষ।

একই সঙ্গে অধ্যক্ষ পর্যটন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র তৈরি করার জন্য পর্যটনমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন বিধানসভার অডিটরিয়ামে এ ধরনের তথ্যচিত্র দেখালে সব বিধায়করা অবগত হবেন।

একই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে মধ্যবিত্ত পর্যটকদের হেনস্থার প্রসঙ্গ তুলে অধ্যক্ষ পর্যটন দফতরের কোনো অভিযোগ সেল আছে কি না তা জানতে চান। তিনি বলেন অনেক সাধারণ মধ্যবিত্ত পর্যটক ঘুরতে গিয়ে হেনস্থা হন। তা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণ‌ মধ্যবিত্ত যাতে হেনস্থা না হয়।

 

 

 

 

 

Previous articleবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড! কুলুতে হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহু বাড়ি!একদিনে মৃ*ত ১৩
Next articleচন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেশ! চাঁদের মাটিতে বীর বিক্রম যাদবপুরের প্রাক্তনী কৃশানুর