গ্রাহকদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার যোগের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগে রাজ্যের সমস্ত রেশন গ্রাহকের আধার যোগের কাজ শেষ করতে খাদ্য দফতর সব জেলা প্রশাসনকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছে। খাদ্য দফতর থেকে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এই কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আধার যোগ করার কাজ করতে বলেছে।

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, রাজ্যে আধার-রেশন সংযোগের কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে সর্বশেষ তথ্য না মেলায় প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। জেলাগুলিকে দ্রুত আধার সংযোগের কাজ শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বর্তমানে প্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ রেশন কার্ড গ্রাহক আছে। এর মধ্যে ৯৭% গ্রাহকের আধার সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে।

বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে রেশন দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে বাংলা। রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে গ্রাহকের আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যাচাই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার অনেক আগেই সক্রিয়ভাবে কার্যকর করেছে। আধার নম্বর আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হয়। কিন্তু অনেকের বিভিন্ন কারণে আঙুলের ছাপ মেলাতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়। সেই সমস্যা দূর করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম রেশন দোকানগুলিতে ‘আই স্ক্যানার’ যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- পড়ুয়া মৃ.ত্যুর প্র.তিবাদে আগামিকাল ১২ ঘণ্টা দার্জিলিং ব.নধের ডাক মোর্চার
