সেনার পোশাকে যাদবপুরে ঢোকা মানবাধিকার সংগঠনের ‘চিফ প্যাট্রন’ সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন!

এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির যে লেটার প্যাড রয়েছে তাতে চিফ প্যাট্রন এবং সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজার হিসেবে নাম রয়েছে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের।

মেইন হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর থেকে একের পর এক বিষয় উঠে আসছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) কেন্দ্র করে। উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় নাম জড়াল সিপিএম নেতা (CPIM Leader) তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bharracharya)। হস্টেলে গাঁজার চাষ থেকে ক্যাম্পাসে মদের বোতল, একটি শিক্ষাঙ্গনে দিনের পর দিন অবাধে চলছে এমন অসামাজিক কাজ। এমন পরিস্থিতিতে আবার সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ছিল একদল যুবক–যুবতী। এরা নাকি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য। এরা নিজেদের ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির’ (Asian Human Rights Society) অংশ হিসাবেও দাবি করেছে। বিশ্ব শান্তি সেনা বলে পরিচয় দেয়। যেখানে অশান্তি হয় সেখানে পৌঁছে যায় শান্তির বার্তা নিয়ে। এই সংগঠনের মাথা কাজি সাদেক হোসেন। তিনিই এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এখন জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর এমন তথ্য সামনে আসায় নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির যে লেটার প্যাড রয়েছে তাতে চিফ প্যাট্রন এবং সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজার হিসেবে নাম রয়েছে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর ইউনিটের চেয়ারম্যান সঞ্জীব প্রামানিকের অভিযোগ, ‘‌বুধবার এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে যুবক–যুবতীর দল ভারতীয় সেনার নকল পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢোকে। আমরা সূত্র মারফত ওই সংগঠনের প্যাড পেয়েছি। সেখানে চিফ অ্যাডভাইজার হিসাবে লেখা রয়েছে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম। বিকাশবাবু কী তাহলে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত? এসব বজরং দল, শান্তিরক্ষা বাহিনী তো বিজেপি করে। তাহলে কি বিজেপি আর সিপিএম যাদবপুরে আঁতাত করেছে? যে তদন্ত চলছে সেখানে যেন বিকাশবাবুকে জেরা করা হয়।’‌ যদিও এমন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতা।

অন্যদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে ওই সংস্থার একটি লেটারহেড। যেখানে ওই সংস্থার হেড অফিস ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট বলে উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু ওই বিল্ডিংয়ে এমন কোনও অফিস-ই নেই বলে জানা যাচ্ছে! এমন ঘটনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে ভালো করে তদন্ত করে দেখা উচিত। এদের পরিচয় সামনে উঠে আসুক।

 

 

 

 

Previous articleমিজোরামের ছায়া দিল্লিতে! রাজধানী শহরে ফের ম.র্মান্তিক পরিণতি বাংলার ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের
Next articleবিরাটের পর ইয়ো ইয়ো টেস্টে চমকে দিলেন শুভমন, পাশ করলেন রোহিত-হার্দিক