একাধিকবার রাজ্যের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বাজি কারখানায় বি*স্ফোরণ, আরও কড়া হচ্ছে প্রশাসন

পর পর দু’জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। এগরা ও বজবজে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই বেআইনি বাজি উদ্ধারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। সে সময় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও পুলিশি অভিযানে মেলে অন্তত ২০০ কুইন্টাল বাজি।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মাস কয়েক আগেই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। সেই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। মারা যান কারখানা মালিকও। রাজ্যের তরফে আরও বেশি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের প্রশিক্ষণের কথা ঘোষণা করেন।বারবার সতর্কতার কথা বলা হলেও তাতে কর্ণপাত করার প্রয়োজন মনে করেননি এর সঙ্গে যুক্তরা।এর কিছুদিন পরেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে। মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু হয়।

পর পর দু’জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। এগরা ও বজবজে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই বেআইনি বাজি উদ্ধারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। সে সময় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও পুলিশি অভিযানে মেলে অন্তত ২০০ কুইন্টাল বাজি।

আজ রবিবার সকালে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের কান ফাটানো শব্দে কেঁপে ওঠে বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকা৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা৷ হাসপাতালে বাড়ছে আহত শিশু এবং মহিলার সংখ্যা৷ হতাহতের সংখ্যা এগরার ঘটনাকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷রবিবারের ঘটনাতেও মৃত্যু হয়েছে বাজি কারখানার মালিকের ছেলের। এলাকায় পৌঁছেছে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড ৷

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির ছাদ৷ চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় মৃতদেহ৷ পাশের বাড়ির চিলেকোঠা থেকে, গাছের ডাল, সব জায়গা থেকেই উদ্ধার হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘটনায়৷ স্থানীয়দের অভিযোগ,  কারখানা কর্তৃপক্ষ আরও সচেতন হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের যোগসাজশে এই সব কারখানা চলে। একাধিক জায়গায় বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল।