আজ সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলার মেয়ো রোড সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। ‘রাজা’ কে খানখান করতে ছাত্র যুবদের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন তিনি। এদিন তার বক্তব্যে আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হটানোর কথা বার বার উঠে এসেছে। কবিতার ছন্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন তিনি। রেল দুর্ঘটনা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি সব কিছু নিয়েই তার নিশানায় আজ ছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

এদিন দেবাংশু বলেন, ‘একটি ইঁদুর সাধুর আশীর্বাদে বাঘে রূপান্তরিত হয়ে সেই সাধু বাবাকেই ভক্ষণ করতে যায়। সেই সময় সাধু বাবা মন্ত্রপূত জল ছিটিয়ে তাঁকে পুনরায় ইঁদুরে পরিণত করে।’ ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ওঠার কাহিনীকে নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের সঙ্গে তুলনা করেন যুব নেতা দেবাংশু। কাহিনীর শেষে মন্ত্রপুত গঙ্গা জল থেকে যেমন ইঁদুর বাঘ থেকে আবার ইঁদুরে পরিণত হয়েছিল তেমন আগামী লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ সাধুর ভূমিকা নেবেন এবং মোদীর রাজনৈতিক পতন ঘটাতে চলেছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে তিনি কটাক্ষ করেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় মাপের সভায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করার মঞ্চ তৈরি হয়েছে আজ ধর্মতলায়। কেন্দ্রের INDIA জোট থেকে শুরু করে রাজ্যে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিলেন দেবাংশু।

অন্যদিকে, এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা (Sudip Raha)। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মনে ক্রিয়ে দেন, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে থেকে একটাই আওয়াজ, দিদি তুমি এগিয়ে চলো বাংলার ছাত্র সমাজ তোমার সঙ্গে আছে। পাশাপাশি দেশ থেকে বিভেদকামী শক্তিকে উৎখাতের ডাক দিয়ে নতুন লড়াইয়ের শপথ নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। এরপরই সুদীপের বক্তব্যে উঠে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু প্রসঙ্গ। সুদীপ বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যাদবপুরে আমাদের এক ভাইকে হারাতে হয়েছে। যেভাবেই হোক ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত করতে হবে। যাদবপুর আর আতঙ্কপুর থাকবে না। ২৮ আগস্টের এই মঞ্চ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে লালমুক্ত যাদবপুরের। তবে শুধু যাদবপুরই নয় এদিন বিশ্বভারতী, প্রেসিডেন্সিকে মাও-মাকু মুক্ত করার বার্তা দেন তিনি। সুদীপ আরও জানান, আমাদের আন্দোলনের জন্য যাদবপুরে সিসিটিভি ঢুকেছে। আলোও জ্বলবে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদও ঢুকবে।

বিজেপির হাতে ইডি, সিবিআই, ত্রিশূল, তলোয়ার আছে আমাদের কাঁধে শিক্ষার প্রগতি, সঙ্ঘবদ্ধ জীবন, দেশপ্রেমের ঝাণ্ডা আছে। বিজেপির ক্ষমতা আছে, আমাদের মমতা আছে। আমাদের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মানে লড়াই, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মানে আন্দোলন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মানে প্রতিবাদ। অন্যদিকে আগামী ২ অক্টোবর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি চলো অভিযান। নিজেদের প্রাপ্য টাকা বুঝে নিতেই দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
