প্রাথমিকের ৪২ হাজারে টেট অনুত্তীর্ণ ৪৩১ জনের নিয়োগপত্র! আদালতে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, এই বক্তব্য ভিত্তিহীন। তারা এও দাবি করেছে, এই নিয়োগ দুর্নীতি অন্তত ৩৫০ কোটি টাকার।

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগ করে পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য মঙ্গলবার জমা করল সিবিআই। এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ছিল। সিবিআই জানিয়েছে, ৪২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে টেট পাশ না করেও ৪৩১ জন নিয়োগপত্র পেয়েছেন । যদিও পিটিশনারদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করছেন, ২০৬৯ জন অবৈধ ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন ।

বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া এই শিক্ষকদের তালিকা আগামীকাল বুধবারের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদ বিষয়টি যাচাই করে তাড়াতাড়ি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই মামলারব পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ অগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এই মামলার এজলাস বদল হয়। মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বিচারপতি সিনহা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখেন। পরে ডিভিশন বেঞ্চও জানায়, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নতুন করে হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এই চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের।
কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে। কিন্তু আজ আদালতে সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, এই বক্তব্য ভিত্তিহীন। তারা এও দাবি করেছে, এই নিয়োগ দুর্নীতি অন্তত ৩৫০ কোটি টাকার।
সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিদেশে পাচার হয়েছে, টলিউডেও বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে ৪২ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন তারা। যে শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি কুন্তলের সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। যদিও সিবিআই রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে তেমন কিছুই নেই। কারা তদন্ত করছে, কী তদন্ত করছে, এর বাইরে কিছু উল্লেখ করার মতো নেই।