সুতপার খু.নির সর্বোচ্চ সা.জা, নিস্তব্ধ আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা!

জন্মানোর পর যে মেয়েকে নিজের হাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন, সেই মেয়েকে চোখের সামনে চিতার আগুনে পুড়ে যেতে দেখেছিলেন স্বাধীন চৌধুরী (Swadhin Chowdhury)। তিনি সুতপার হতভাগ্য বাবা। প্রাক্তন বান্ধবী সুতপা চৌধুরীকে(Sutapa Chowdhury) কুপিয়ে নৃশংস খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ‘প্রেমিক’ সুশান্তকে বৃহস্পতিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এদিন স্পষ্ট উচ্চারণে এক নিঃশ্বাসে রায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন বিচারক। ঠিক সেই সময়েই এজলাসে তীব্র আর্তনাদ। নিস্তব্ধতার বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে এল দুটো শব্দ ‘সুতপা… সুতপা মা…’, মেয়ের অপরাধী আজ সর্বোচ্চ শাস্তি পেয়েছে হাহাকার আর কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরকাণ্ডে নিহত তরুণীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী (Swadhin Chowdhury)।

২০২২ সালের ২ মে ভরসন্ধ্যায় গোরাবাজারে একটি মেসের সামনে খুন হন বহরমপুরের গার্লস কলেজের প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রী সুতপা। হাড়হিম করা সেই ঘটনা দৃশ্যে কেঁপে উঠেছিলেন স্থানীয়রা, ভিডিও ভাইরাল হওয়া মাত্রই গোটা ঘটনা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের। ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে ক্ষতবিক্ষত করা হয় সুতপাকে। স্থানীয়রা সেদিন সুতপাকে বাঁচানোর সাহস কেউ দেখাননি। কারণ, তত ক্ষণে হাতে থাকা ‘পিস্তল’ উঁচিয়ে ধরেছেন সুশান্ত। মেসের পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামশেরগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গ্রেফতার হন সুশান্ত। পরে আদালতে খুনের কথা কবুলও করেন তিনি। খুনের ঘটনার আড়াই মাসের মাথায় বহরমপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন), ২০১ ধারায় সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট, ২৮এ ধারায় শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। আজ সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা হল আদালতে। সুতপার বাবা আদালত থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমার মেয়ের আত্মা আজ শান্তি পাবে। এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড না হলে আবার অন্য কারও সঙ্গে ঘটতে পারত।’’