যুব মোর্চার মিছিলে চূড়ান্ত অ.সভ্যতা! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাদবপুর পুলিশ

আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, নতুন আবেদন করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে এফআইআর-র আবেদন করা হয়েছে।

যুব মোর্চার মিছিল থেকে পুলিশের উদ্দেশে কটূক্তি ও অসভ্যতামির অভিযোগ। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এফআইআর (FIR) দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল যাদবপুর থানা (Jadavpur University)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুভেন্দুর আইনজীবীরা লিখিতভাবে আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন।

এদিন আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, নতুন আবেদন করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে এফআইআর-র আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওইদিন কী ভাষায় বিরোধী দলনেতা কথা বলেছেন, তার ভিডিয়ো আমরা দেখাতে পারি। এরপরই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশকে গালিগালাজের অভিযোগ সামনে এসেছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে মনে করিয়ে দেন, যাদবপুরের মিছিল থেকে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক কুকথা বলেছেন। এরপরই বিচারপতি কল্যাণের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে একটি সম্প্রদায় নিয়ে কথা বলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছেন। ১৭ অগাস্টের ঘটনার বিচারের দাবিতেও এদিন আদালতে সরব হন রাজ্যের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এফআইআর-এর ইস্যুতে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির শেষ নির্দেশ দেখে বিবেচনা করব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মোহনপুর থানার রামপুরা এলাকায় ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সেই এফআইআরে দাবি করা হয়েছিল, ওই ঘটনায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের উস্কানি ছিল। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দেশের শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই মামলা বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সেই নির্দেশ দেখে বিবেচনা করবেন বলে এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন।