ডুরান্ড ফাইনালের আগে রেফারিং নিয়ে সরব হয় ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে যেভাবে রেফারিং হচ্ছে তা নিয়ে খুশি নয় ইস্টবেঙ্গল। এমনকি আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ লাল-হলুদের। আগামী রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মহা ডার্বি। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে তার আগে ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ, বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে একটা দলকে। এই নিয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। আর এরপরই ইস্টবেঙ্গল কর্তার পাল্টা দিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।

এই নিয়ে বাগান সচিব বলেন, “২০ বছর আগে ডার্বির আগে রেফারিদের ওপর চাপ সৃষ্টির খেলা হত। এটা অনেকটা সেই ধরনের। সেমিফাইনালের পর নর্থইস্টের কোচ বলেন, কলকাতায় শুধু ভালো খেলে ইস্টবেঙ্গলকে হারানো সম্ভব নয়। অন্য যেটা করা দরকার, আমরা করতে পারিনি, তাই হেরেছি। তার ইঙ্গিত কী সেটা স্পষ্ট। আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণের পর, আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসিত মন্তব্য করার পর কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে? ৯০ দশকে রেফারিদের ওপর চাপের খেলা হত, সেটাই হচ্ছে। এটা ২০২৩ সালে চলে না।”
শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠক ডাকে ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার নাম না করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচে রেফারিদের ত্রুটি নজরে আনেন। দুটি ম্যাচের ছবি হাতে নিয়ে দেবব্রত সরকার বলেন ,”প্রতিটি ম্যাচেই একটি দল রেফারিদের তরফে অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছে। সেমিফাইনালে সুবিধা পেয়েছে। কোয়ার্টারে মুম্বই সিটি ম্যাচে পেয়েছে। গত বছর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ফাইনালে একই ঘটনা ঘটেছে। গোয়ার কোচও ম্যাচের পর সেটা বলেছেন।”

দেবব্রত সরকার আরও বলেন, “আগামী ৩ তারিখ ফাইনালে সুন্দর ম্যাচ হোক আমরা এটাই চাই। কোনও ক্লাবই যেন এরকম ভাবে অন্যায্য সুবিধা না পায়। যাঁরা আয়োজক, তাঁদের আবেদন করতে চাই সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করার জন্য। জানি না কেন একটি বিশেষ ক্লাবকে এভাবে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্লাবগুলো তাহলে কেন দল তৈরি করল? মুম্বই দল এখানে অনুশীলন করতে এসেছিল। ওরা বলেছে, আগামী দিনে কলকাতায় খেলতে আসবে কি না সেটা ভাববে। এ রকম পরিস্থিতি কাম্য নয়।”


আরও পড়ুন:পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রোহিত
