ধূপগুড়ি উপনির্বাচন: প্রচারের শেষলগ্নে ঝড় তুললেন ফিরহাদ, মিমিরা

উপনির্বাচনের আবহে ফুটছে ধূপগুড়ি(Dhupguri)। শাসক থেকে বিরোধী, বিগত কয়েকদিনে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছে সব দলই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী রবিবার অবধি ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপনির্বাচনের প্রচার করা যাবে। তারপর আর করা যাবে না। তাই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইভোল্টেজ প্রচারের পর শেষদিনের প্রচারে ধুপগুড়িতে ঝড় তুলল তৃণমূল। শাসকদলের ব্যাটন হাতে নিয়ে এদিন ধুপগুড়িতে প্রচার সারলেন ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim), মিমি চক্রবর্তীদের(Mimi Chakrabarty)। এদিন তৃণমূলের(TMC) রোড শোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে প্রচারে এসে ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনতে হল শুভেন্দু অধিকারী, মিতালি রায়দের।

রবিবার তৃণমূলের প্রচার ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি ধূপগুড়ির সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ধূপগুড়ি কলেজ থেকে ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হুডখোলা গাড়িতে করে এদিন প্রচারে নামেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। রোড শো শেষে মিমি চক্রবর্তী বলেন, ধূপগুড়ি তাঁর নিজের জায়গা। জলপাইগুড়িতেই তিনি বড় হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি নিজের জায়গায় এসেছেন। তাছাড়া অনেকদিন এখানে আসার হয়নি। ভোটের কারণে আসা হল মানুষের সঙ্গে দেখাও হল, দলীয় প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলাম। পাশাপাশি ফিরহাদ বলেন, প্রচারে এসে মানুষের থেকে যে সাড়া পেয়েছি তাতে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিয়ে কোনও প্রশ্নই থাকছে না। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল এখানে জয়ী হচ্ছে। অন্যদিকে, শেষ বেলায় প্রচারে নেমে চোর স্লোগান শুনতে হল শুভেন্দু অধিকারী, মিতালি রায়দের। রবিবার দুপুরে বানারহাটের শীতলাবাড়িতে পুজো দিয়ে কারবালা চা বাগানে ভোট প্রচারে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে ফেরার সময় বানারহাট বাজারে তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর চোর চোরটা’ স্লোগান দেয় সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিতালি রায়ের উদ্দেশেও ‘চাকরি চোর’ স্লোগান দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।

উল্লেখ্য, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু চাকরীপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে। গত নির্বাচনে প্রায় ৩ হাজার ভোটে তিনি বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। বিষ্ণুপদ রায়ের অকাল প্রয়াণের পর ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে দলীয় টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন মিতালি। এরপর শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগও দিয়েছিলেন তিনি। তারপর রাত পোহাতেই বিজেপিতে যোগ দেন মিতালি রায়।

Previous articleনয়া অবতারে রাহুল! লালুর বাসভবনে মাটন রান্নায় ব্যস্ত সোনিয়া তনয়
Next articleসংসদের বিশেষ অধিবেশনে নেই প্রশ্নোত্তর পর্ব ,ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া শিবির