সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নেই প্রশ্নোত্তর পর্ব ,ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া শিবির

যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশনের বিষয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তাই সমস্ত দলের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় ইন্ডিয়া শিবির।

parliament

একদিকে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের  সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া শিবিরের সংসদীয় নেতাদের নিয়েও একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে বিশেষ অধিবেশনে ইন্ডিয়া শিবিরের কৌশল কি  হবে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশনের বিষয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তাই সমস্ত দলের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় ইন্ডিয়া শিবির।
অন্যদিকে শনিবার  জানানো হয়েছে, ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনে থাকবে না কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব । ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাতে ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া শিবির।সাংসদদের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, “১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। তবে এই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ার পর্ব এবং প্রাইভেট মেম্বার বিজনেস থাকবে না।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে বলেছেন, ” মোদি সরকার বিশেষ অধিবেশনে কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ার পর্ব না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এই বিশেষ অধিবেশনের অর্থ কী? ” ইন্ডিয়া শিবিরের দাবি, মণিপুর, চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হোক।

কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্য সচেতক মানিককাম টেগোর বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কখনও কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চান না। গত ৯ বছরে তিনি সংসদে একটি প্রশ্নেরও জবাব দেননি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও তিনি কখনও কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। এবার বিশেষ অধিবেশনেও কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। সংসদ শুধুমাত্র হাততালি দেওয়ার জায়গা নয়।”

 

 

 

Previous articleধূপগুড়ি উপনির্বাচন: প্রচারের শেষলগ্নে ঝড় তুললেন ফিরহাদ, মিমিরা
Next articleনোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফের নি*ষিদ্ধ রাশিয়া! আমন্ত্রণ পাচ্ছে না ইরান, বেলারুশ