রাজ্যপালের নোটিশ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের

ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তরফে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনারা আগামিকাল অফিসের অন্য কোনও কাজ করতে বাইরে যেতেই পারেন। কিন্তু বৈঠকে যোগ দেবেন না

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘর্ষের মধ্যেই ফের নতুন বিতর্ক৷ আগামিকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷কিন্তু জানা গিয়েছে, রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের এই বৈঠকে যেতে “বারণ” করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তরফে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনারা আগামিকাল অফিসের অন্য কোনও কাজ করতে বাইরে যেতেই পারেন। কিন্তু বৈঠকে যোগ দেবেন না।’

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ‘আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সার্বভৌম অধিকর্তা হলেন উপাচার্যই। তাঁর অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাঁরই নির্দেশ মেনে কাজ করবেন। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন।জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে যোগ না দেওয়ার পিছনের ‘কারণ’ হিসাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা ২ সেপ্টেম্বরের রাজভবনের সেই নির্দেশিকার কথাই উল্লেখ করেছেন।

গত ৩১ অগাস্ট রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নেই, পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন৷ এরপরেই আবার গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল৷ এরপর মঙ্গলবার মধ্যরাতে কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্যও নিয়োগ করেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleরাজ্যপালের বক্তব্যকে ‘সুপরিকল্পিত একটি চিত্রনাট্য’ বলে কটাক্ষ কুণালের
Next articleরবিবার ফের ভারত-পাক মহারণ, ম‍্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা কেন?