তিন ঘন্টা পর স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা, অফিস টাইমে নাকাল নিত্যযাত্রীরা

সকাল আটটা দশ মিনিট থেকে ডাউনলাইনে মেট্রো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন অফিস যাত্রীরা। জানা যায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের (Kalighat Metro) কাছে লাইনে স্পার্ক লক্ষ্য করার পর বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে কাজ করতে শুরু করেন ইঞ্জিনিয়াররা। যার ফলে ময়দান (Maidan) থেকে টালিগঞ্জ অর্থাৎ মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো (Mahanayak Uttamkumar) স্টেশন পর্যন্ত ডাউনলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো অবশ্যই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই ভোগান্তি চরমে ওঠে মেট্রোযাত্রীদের। দক্ষিণের দিক থেকে পার্ক স্ট্রিট, ময়দান কিংবা ধর্মতলার দিকে যাঁরা আসেন তাঁরা স্বভাবতই এই খবর শুনে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করেন। সেখানে বিপত্তি, কারণ মেট্রো বন্ধ থাকায় ১০ টাকার অটো ভাড়া দাঁড়ায় ৫০-৬০ টাকায়। বাসে, ট্রামে বাদুর ঝোলা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অবশেষে বেলা এগারোটার কিছু সময় পরে স্বাভাবিক হয় ডাউন এবং আপ লাইনে মেট্রো চলাচল।

মেট্রোরেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র ডাউনে মেট্রো চলাচল শুরু হলে প্রথম ট্রেন ধরে টালিগঞ্জে উপস্থিত হন। তিনি জানান, যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এখনও মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। সকাল ১১টা নাগাদ ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ডাউন লাইনের মেট্রো চালু করা হয়। তার মিনিট তিরিশ পর সাড়ে ১১টা নাগাদ স্বাভাবিক হয় মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো চলাচলও। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টালিগঞ্জ স্টেশন চত্বরে থিকথিকে ভিড় হতে শুরু করে। স্টেশন থেকে বেরিয়েও সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মেট্রো থমকে যাওয়ায় কার্যত জনজীবন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছিল। যে হারে রাস্তায় ভিড় লক্ষ্য করা যায় তাতে অনেকেই আবার মেট্রো স্টেশনে বসে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।ইনসুলেটরের সমস্যার জন্য ইমার্জেন্সি পাওয়ার ব্লক হয়েছিল বলেই দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

Previous articleধূপগুড়ির সরকারি কর্মীরাও মমতার দিকে, পোস্টাল ব্যালটেও জয় তৃণমূলের
Next article“তৃণমূলের ভাঙিয়ে নেতা নয়কো সহজ ভোটে জেতা”, দলবদলু মিতালির বুথেও বিজেপির হার