মরক্কোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।আহতের সংখ্যাও দু’হাজারের বেশি বলে খবর। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মরক্কোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি দীর্ঘদিন বনিবনা না থাকলেও প্রতিবেশি দেশের দুর্দিনে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনি আলজেরিয়াও। সেদেশ থেকেও ত্রাণসামগ্রী এসে পৌঁছেছে মরক্কোতে।

আরও পড়ুন:ধ্বংসস্তূপের নিচে শুধুই লা.শ, মরক্কোয় ভূমিক.ম্পে মৃ.তের সংখ্যা ছাড়াল ১০০০
আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের ছোট পাহাড়ি দেশ মরক্কো। শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সে দেশের মাটি। স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। এর পর ছোট ছোট কয়েকটি আফটার শকেও কেঁপেছে মরক্কো। মারাকাশ শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
রাতে যে সময় কম্পন অনুভূত হয়, অনেকেই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ভূমিকম্পের প্রতিঘাতে একাধিক বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।

আলজেরিয়া ছাড়াও মরক্কোর এই দুর্দিনে আফ্রিকান দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে মরক্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। মরক্কোতে আমেরিকার যে সমস্ত নাগরিক আছেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি,উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্য করছে আমেরিকা। অর্থনৈতিক ভাবেই দেশটির পাশে দাঁড়ানো হয়েছে।
ভারতের তরফেও মরক্কোকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, মরক্কোর এই দুঃসময়ে সাধ্যমতো সাহায্য করবে ভারত।
মরক্কোর দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক, কাতার, ফ্রান্স, জার্মানি, ইজরায়েল, দুবাই, জর্ডনও। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের একটি মোবাইল অপারেটর এক সপ্তাহের জন্য মরক্কোতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
