হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। মাস ঘুরলেই শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে (Durga Puja) মাতবে বাঙালি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। চারিদিকে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে শহরের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে কেন্দ্র করে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ও কলকাতা পুরসভা (KMC) বৈঠক সেরে ফেলেছে। সেখানে পুজোর দিনগুলির পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জন (Emmerson) নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে কীভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে? কোন রাস্তা বন্ধ রাখা হবে? প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল কলকাতা পুরসভা এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষও। আর সেই বৈঠকেই প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছর ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। তার পর আরও দু’দিন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় যতগুলি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয় সেই সব ঘাটগুলির দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পুরসভা। অন্যদিকে, জলপথে প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়টিতে কড়া নজর থাকবে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষও। কোথাও যেন কোনওরকম গাফিলতি যাতে না থেকে যায় সেদিকে কড়া নজর থাকবে প্রশাসনের। পাশাপাশি খিদিরপুরের দইঘাট থেকে শুরু করে বাবুঘাট, আহেরিটোলাঘাট, বাজেকদমতলা ঘাটের মতো একাধিক বড় ঘাটগুলিতে বিশেষ নজর থাকবে কলকাতা পুরসভার।
এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে পুরসভাকে নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষও ৫০টি লাইফবোট কলকাতার গঙ্গায় নামাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্গোৎসবের পাশাপাশি আরও বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে বিসর্জন পর্বের উপর। পাশাপাশি বিসর্জনের কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মরত কোনও ব্যক্তির যাতে প্রাণহানির আশঙ্কা না থাকে, সে বিষয়ে বিশেষ ভাবে সজাগ থাকতে হবে বলে প্রশাসনের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবারই কলকাতা পুরসভায় প্রাক পুজোর বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিইএসসি-সহ একাধিক সরকারি দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তবে উৎসবের প্রস্তুতি পর্বে যাতে কোনওরকমভাবে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
