কল সেন্টারের (Call Centre) আড়ালে প্রতারণার ব্যবসা চলছিল। বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। ইন্টারপোল (Interpole )মারফত খবর পাওয়ার পরই স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ইতিমধ্যেই লখনউ (Lucknow)থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে পাঁচজনই কলকাতার (Kolkata)বাসিন্দা। এর সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছেন তার খোঁজ চালাচ্ছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে কানাডার ইন্টারপোল ভুয়ো কলসেন্টারের তদন্তে নেমে কলকাতার দুজনের খোঁজ মেলে। তাঁরা হলেন একবালপুর এলাকার বাসিন্দা জুনেইদ আনসারি এবং গার্ডেনরিচ এলাকার শাদাব আলম। কলকাতার যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর ধরে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রতারকরা কানাডার এক কমিউনিকেশন সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে খবর। ফাঁদ বুঝতে না পেরে কানাডার বাসিন্দা হেগার্টি-পটস জানুয়ারি মাসে দু’দফায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে জমা করেন। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় উত্তরপ্রদেশে গিয়ে ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ একাধিক ডিভাইস এবং যন্ত্র উদ্ধার করে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতরা হলেন, মহম্মদ নওশাদ, মোয়াজ্জেম আহমেদ, আমন চৌধুরী এবং মহম্মদ শেশাদ ও উত্তর প্রদেশের আজিম খান।