দুর্ঘ*টনায় মৃ*ত ভারতীয় ছাত্রীকে নিয়ে ‘হাসাহাসি’ মার্কিন পুলিশের!তদন্তের দাবি ভারতের

আমেরিকায় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় ছাত্রীর। এই ঘটনার পর তারজন্য এতটুকু সমবেদনা না দেখিয়ে উলটে তরুণীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করতে দেখা গেল এক মার্কিন পুলিশকে। এ হেন আচরণে ক্ষুব্ধ ভারত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের তরফে বলা হয়, “এটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক”। ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার অবিলম্বে তদন্তের দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটই নিয়ে পুলিশকর্মীর ‘মজা’ করার মত আচরণকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন সানফ্রান্সিসকোর ভারতীয় কনস্যুলেট।

আরও পড়ুনঃ লন্ডভন্ড লিবিয়া!সাজানো শহরের চারিদিকে শুধুই ‘ঘোলাটে’ কাদাজল
গত ২০২১ সালে আমেরিকায় পড়াশুনা করতে যান বছর ২৩-এর মৃত ভারতীয় ছাত্রী জাহ্নবী কান্দুলা। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই সিয়াটেলের উত্তরপূর্ব বিশ্ববিদ্যালযয়ে তাঁর পড়াশুনো শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই গত ২৩ জানুয়ারি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় তরুণীর। ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কেভিন নামের এক পুলিশ কর্মী। কেভিনের গাড়িতে ধাক্কা লেগে ছাত্রীর মৃত্যু হলেও বিতর্কের কেন্দ্রে আরেক পুলিশ কর্মী ড্যনিয়েল।ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে মজা করা সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।যদিও ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ। তবে পুলিশ কর্মীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ নেটাগরিকরা। পোস্টটি ভাইরাল হতেই উঠেছে নিন্দার ঝড় ।
ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিয়াটেল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অডেরারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল যে দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালক কেভিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না। পরে এই বিষয়ে ড্যানিয়েল পুলিশ গিল্ডের সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। যা তাঁর বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ড্যানিয়েলকে ঠাট্টা করতে শোনা যায়। গিল্ড সভাপতি মাইক সোলানকে ড্যানিয়েল বলেন, “২৬ বছর বয়স (ভুল বয়স বলেন ড্যানিয়েল), খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমজনতা। শুধু একটা চেক লিখে দিলেই হবে। ১১ হাজার ডলারই যথেষ্ট।”
বিতর্কের ঝড়ের মধ্যে বুধবার এই বিষয়ে মুখ খোলে সানফ্রান্সিকোর ভারতীয় কনস্যুলেট। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাস লেখে, “আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিয়াটেল এবং ওয়াশিংটন প্রদেশের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে বিষয়টি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছি।” আরও বলা হয়, “কনস্যুলেট এবং দূতাবাস এই বিষয়ে কড়া নজর রাখবে।

Previous articleলন্ডভন্ড লিবিয়া!সাজানো শহরের চারিদিকে শুধুই ‘ঘোলাটে’ কাদাজল
Next articleউলট পুরাণ! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ফাইলকাণ্ডে এবার রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে ইডি