জোড়া এলিয়নের মৃ.তদেহ প্রকাশ্যে আনলেন বিজ্ঞানীরা! UFO নিয়ে চাঞ্চ*ল্যকর দাবি নাসার

এই সংক্রান্ত গবেষণা করতে স্যাটেলাইট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে যে এলিয়ন (Alien)নিয়ে রহস্য বাড়ছে এবার তাদেরই মৃতদেহ প্রকাশ্যে! বিজ্ঞানীরা সবসময়ই জানিয়েছেন যে, যদি পৃথিবীতে এলিয়েনরা নেমে আসতে থাকে, তবে অচিরেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে তারা। কিন্তু ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হল এক ভিডিও যা দেখে চমকে উঠেছেন মহাকাশ গবেষকরাও। মেক্সিকান পার্লামেন্টে দুই এলিয়েনের ((Alien))মৃতদেহকে সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। পেরুর কুজকো থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মৃতদেহগুলি আনুমানিক হাজার বছরের পুরনো বলেই ধারণা করা হয়েছে। তাহলে কি সত্যি এলিয়নরা বাস্তবে আছে? বিজ্ঞানীদের দাবি, এই দুটি মৃতদেহ পৃথিবীর অংশ নয়। এদেরকে UFO-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেছে। মেক্সিকো সিটির বিজ্ঞানীরা একটি অফিসিয়াল ইভেন্টের সময় দুই এলিয়েনের মৃতদেহ বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন। এর নেতৃত্ব দেন মেক্সিকান সাংবাদিক এবং ইউপোলজিস্ট জেইম মাউসন (Euphologist Jaime Mawson)। ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দুটি কাঠের বাক্সে অদ্ভুত দুই মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে, যার সঙ্গে মানুষের মৃতদেহের কোনও মিল নেই। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এবার ইউএফও সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করল NASA।

মেক্সিকোর কংগ্রেসে ‘এলিয়েন’ প্রদর্শনের পর নাসার রিপোর্ট নিয়ে কৌতুহল ছিল সারা বিশ্বেই। এই আবহে রিপোর্ট পেশের সময় নাসা প্রধান জানান যে, এলিয়েনের উপস্থিতি নিয়ে তাঁর সন্দেহ নেই। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব আছে। এর আগে বারবার অভিযোগ ওঠে যে এলিয়ন সম্পর্কে তথ্য গোপন করতে চাইছে মার্কিন মুলুক। এই আবহে নাসা প্রধানের মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ইউপোলজিস্ট জেইম মাউসন এলিয়নের মৃতদেহ প্রসঙ্গে জানান যে, UFO-র নমুনাগুলি সম্প্রতি মেক্সিকোর অটোনোমাস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে বিজ্ঞানীরা রেডিওকার্বন ডেটিং-এর সাহায্যে ডিএনএ পরীক্ষা করেন। আর তা থেকেই জানা যায় যে এরা পৃথিবীর অংশ নয়। কিন্তু নাসা বলছে এই নিয়ে গবেষণা করতে আরও উন্নত বৈজ্ঞানিক পরিকাঠামো দরকার। ইউএফও নিয়ে গবেষণায় কীভাবে এগোন যায় সেই সম্পর্কিত একটি স্বতন্ত্র রিপোর্ট তৈরি করে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। । বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় UFO সংক্রান্ত ৩৩ পাতার সেই রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়, এই সংক্রান্ত গবেষণা করতে স্যাটেলাইট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও বিল নেলসন বলেন, ইউএফও-র সঙ্গে এলিয়েনের যোগ আছে কি না, সে বিষয়ে নাসা কোনও প্রমাণ পায়নি।

Previous articleকানাডায় ভারতীয় ছাত্রকে বেধ.ড়ক মা.র! চোখে মরীচ গুঁড়ো স্প্রে
Next articleশুভেন্দুর কর্মসূচির নামে মোটা টাকা তোলাবাজি! ব্যবসায়ীকে মারধরে ‘গদ্দার’কে গ্রে.ফতারের দাবি তৃণমূলের