কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে প্র.তিবাদ কর্মসূচি হবেই, ফের স্পষ্ট করল তৃণমূল

২ অক্টোবর রাজঘাটে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাবে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানী দিল্লির বুকে ধর্ণা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমে ঠিক ছিল রামলীলা ময়দানে হবে এই কর্মসূচি। কিন্তু বিজেপির পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বিকল্প রাস্তায় হাঁটে তৃণমূল। নতুন তিন জায়গায় কর্মসূচি করতে চেয়ে সম্প্রতি ফের পুলিশের অনুমতি চায় তৃণমূল। কিন্তু অমিত শাহের পুলিশ তা নাকচ করে দেয়। কিন্তু কর্মসূচি করবেই তৃণমূল, এদিন ফের তা স্পষ্ট করা হয়েছে দলের তরফে। ২ অক্টোবর রাজঘাটে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাবে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরেরদিন ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকার বঞ্চনা। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ন্যায্য পাওনা টাকা দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দেখা করতে গিয়েছিলেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্রের সরকার দেখা করেনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রা করেছিলেন। সেখানে বঞ্চনা নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। তাই দিল্লিতে কর্মকর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”

রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “২ অক্টোবর মহত্মা গান্ধীর জন্মদিনে দিল্লিতে বড় কর্মসূচি হবে। আমরা বারবার চিঠি দিয়েছি। দু:খিত যে আমাদের দিল্লি পুলিশ অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পুলিশ। এতে রাজনীতি আছে। বিজেপি প্রতিবাদ সমাবেশকে ভয় পাচ্ছে। এভাবে চলে না।।এই কর্মসূচিতে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে যাওয়া হবে। দিল্লিতেই হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানানো হবে গান্ধীজিকে। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। সব বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকবেন। পরের দিন ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আমরা যাব। আমরা আজ চিঠি দিয়েছি তাঁর কাছে। আশাকরি সময় দেবেন।”

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “বিজেপির চ্যালেঞ্জ আসলে ক্রেডিবিলিটি। এই রাজ্যে এখনই ১ কোটি ৯৮ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, ধর্না কর্মসূচি নিয়ে ফের দিল্লি পুলিশকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। ধর্না কর্মসূচি উপলক্ষে রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার জনের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে শুক
চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

কর্মসূচি হবেই আগেই জানিয়েছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রয়োজনে সব সাংসদ-বিধায়ক রাজঘাটে যাবেন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে দেওয়া চিঠিতে ডেরেক লেখেন ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মনরেগার কর্মীরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ধর্না কর্মসূচি করবেন। সেই উপলক্ষে রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে চায় তৃণমূল।’’

দিল্লির একাধিক জায়গায় ধরনা কর্মসূচির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতজন কর্মী-সমর্থকের থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করতে পুলিশের থেকে কোনও সবুজ সংকেত এখনও পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

 

 

 

 

 

Previous articleবাংলাদেশের বিরুদ্ধে লজ্জার নজির রোহিতের, ছুঁয়ে ফেললেন বিরাটকে
Next articleবিরোধী দলনেতা কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করেছেন, তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু